ভ্যাকসিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

পিবিএ,ঢাকা: বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার এবং কিছুক্ষণ বাদে বাদে হাত পরিস্কার করা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভ্যাকসিন নিলেও এই স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ‘মাস্কটা ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া অব্যাহত রাখতে হবে। মানে টিকা যারা নিয়েছে তাদেরকেও। এটা মনে করলে হবে না যে, আমি টিকা নিয়েছি তাই একদম নিরাপদ। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্বকালে সভার প্রারম্ভিক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকৈ অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রদানকে আরো একটু সহজিকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এখন আমার মনে হয় একটু ওপেন করে দিয়ে তাড়াতাড়ি যত দেয়া যেতে পারে। কারণ একবার দিয়ে আবার নেক্সট ডোজের জন্য তৈরি হতে হবে।’

তিনি টিকা গ্রহণকারীদের পরিচয় পত্র প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা আইডি কার্ডের মত থাকতে হবে কারা করোনাভ্যাকসিনটা নিল। এটা দেখিতে দ্বিতীয় ডোজটা নিতে হবে এবং সেই আইডেনটিটিটা তাদের কাছে থেকে যাবে, তাহলে কেউ বিদেশে গেলে তারা যে করোনাভ্যাকসিন নিয়েছে তার প্রমাণটা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেয়ার বিষয়ে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মাঝে এখনো একটু দ্বিধা থাকলেও সেটা চলে যাবে ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, করোনা টিকার সেকেন্ড ডোজের জন্য ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। লন্ডনে সেভাবেই করা হচ্ছে। এজন্য ১৫ দিনের মধ্যে সেকেন্ড ডোজের টিকা যে নিতে হবে তা নয়, কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত এ কার্যকাররিতা থাকে, সেকেন্ড ডোজ নেয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি দ্রুতই সেকেন্ড ডোজটা দিয়ে দেয়ার। আমি বলেছি, একমাস বা দুইমাসের মধ্যে সেকেন্ড ডোজ দিয়ে এগুলো শেষ করার। কারণ ভ্যাকসিনের যেন ডেট পেরিয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনী এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে এসে তাদের দ্রুত (টিকা) দিয়ে দিতে হবে এবং এটা একটু বলে দিতে হবে (সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে)।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের যত পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন তাদের সবাইকে এই টিকা দিতে হবে।

তিনি বলেন, যারা ফ্রন্ট লাইনার তাদের আগে দিতে হবে। এর মধ্যে চিকিৎসক বা চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত যারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো এবং যারা এই কোডিড মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল তাদেরকে আগে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দলের নেতা-কর্মীরা এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, যথেষ্ট কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্তও হয়েছে এবং মারা গেছে তারাই সব থেকে বেশি। কাজেই তারা রেজিষ্ট্রেশন করলে টিকা নিতে পারবে।

‘এখন আরেকটু ওপেন করে দেয়ার নির্দেশনাও আমি দিয়েছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পিবিএ/জেডএইচ

আরও পড়ুন...