সারাদেশে ‘ত্রাসের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়েছে: আলমগীর

পিবিএ,ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীনরা সারাদেশে ‘ত্রাসের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে । নির্বাচনের পূর্বের সহিংসতা, নির্বাচনের দিনের সহিংসতা ও নির্বাচনের পরের সহিংসতার মধ্যে দিয়ে আজকে গোটা বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা একটা ত্রাস ও ভীতির নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আমরা দেখেছি নোয়াখালীতে আমাদের একজন বোন ধর্ষিত হয়েছেন।

সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর খোঁজ-খবর নিতে ও তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে আজ শনিবার নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন ফখরুলসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পথে কুমিল্লায় যাত্রাবিরতির সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

ফখরুল বলেন, নির্বাচনের পূর্বের সহিংসতা, নির্বাচনের দিনের সহিংসতা এবং পরের সহিংসতার মধ্য দিয়ে গোটা দেশে একটা সহিংস ত্রাস এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি নোয়াখালীতে আমাদের এক বোন ধর্ষিত হয়েছে। আমরা নিন্দা জানিয়েছি, সারা দেশে সহিংসতারও আমরা নিন্দা জানিয়েছি এবং জনগণের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি এবং এই সহিংসতাকে তাদের প্রতিরোধ করার প্রয়োজন রয়েছে।

ফখরুল বলেন, সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে আবার। এ কারণে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের পরেও সারাদেশে অত্যাচার ও নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সরকার দলীয় লোকেরা।

এসময় ফখরুলের সঙ্গে একই গাড়িতে রয়েছেন নোয়াখালীর ওই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা রেহানা আখতার রানু, সৈয়দ আসিফা আশরাফী পাপিয়া এই সফরে রয়েছেন।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...