লাক্স তারকাখ্যাত অভিনেত্রী মৌনতা খান ঈশানা। ঈশানা খান নামেই সমাধিক পরিচিত। এখনো পর্যন্ত তার কাজের পরিধি নাটক এবং বিজ্ঞাপনচিত্রকে ঘিরেই। মিডিয়ার নানা প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা পিবিএ-এর পক্ষ থেকে অভিনয়ের নানা প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন জিয়াউল জিয়া–
প্রশ্ন : আপনার বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানবো–
ঈশানা খান : কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করছি। পাশাপাশি সিঙ্গেল নাটকের ব্যস্ততাও রয়েছে। কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। এ বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত না হলে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ব্যস্ততা এসব ঘিরেই।
প্রশ্ন : বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলদের পারিশ্রমিক কি সন্তোষজনক?
ঈশানা খান : একদম না। বিজ্ঞাপনের নির্মাণ বাজেট থাকে অনেক। কিন্তু মডেলদের সম্মানীর বিষয়ে তাদের হাত টানাটানি থাকে সব সময়। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আশাকরি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা একটু ভাববেন। বিজ্ঞাপনে কাজ করার ক্ষেত্রে পুরো মেধাটাই দিতে হয়। শতভাগ প্রোপার এক্সপ্রেশন দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের বিষয়টা যদি উল্লেখযোগ্য না হয় তবে তো বেমানান লাগে, তাই না?
প্রশ্ন : নাটক, বিজ্ঞাপন তো হলো। ফিল্মে কবে দেখা যাবে আপনাকে?
ঈশানা খান : আপাতত ফিল্ম নিয়ে একদম ভাবতে চাচ্ছি না। নাটক এবং বিজ্ঞাপন নিয়েই হ্যাপি আছি বলতে পারেন। আর তথাকথিত নাচে গানে ভরপুর ছবিতে কাজ করার ইচ্ছেও নেই। যদি ভিন্ন গল্পের ফিল্মের অফার পাই যেখানে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে তবে কাজ করবো। তবে সেটা আরও কিছু দিন পরে।
প্রশ্ন : নতুনদের অভিনয় এবং এখনকার নাটক নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কি?
ঈশানা খান : দেখুন, আমরা এই প্রজন্মে অভিনয় শিল্পীরা হলাম সবচেয়ে দূর্ভাগা। এখন আগের মতো যত্ন নিয়ে, সময় নিয়ে নাটক হচ্ছে না। নতুনদের অনেক সময় সেটে আসার পর হাতে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুতি ছাড়া কেউ ভাল কাজ করতে পারে? তারপর নাটকের বাজেট দিন দিন কমছে। এতোসব সীমাবদ্ধতার পরে ভাল নাটক বা অভিনয় কিভাবে সম্ভব? আগের নাটকের বাজেট ভাল ছিল, সময় নিয়ে বানানো হতো তাই সেসব নাটক ভালো হতো এবং মানুষ সেসব এখনো মনে রেখেছে।
প্রশ্ন : অভিনেত্রী হিসেবে কতোটা সাহসী আপনি ?
ঈশানা খান : আমি শতভাগ প্রফেশনাল কিন্তু সাহসের ক্ষেত্রে একটু কমতি আছে। সাহসী হওয়ার নামে আমি কাপড় খুলতে পারবো না। পাশাপাশি খুব বেশি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও কাজ করতে চাই না। আমার মনে এসব দৃশ্যে কাজ করার ছাড়াও মানুষকে আনন্দ দেওয়া যায়। যারা এরকম সাহসী অভিনয় করেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি আসলে অভ্যস্ত না। আনইজি সিচুয়েশনে কেউ ভালো কিছু করতে পারে না। এক্ষেত্রে আমি খুবই আনইজি ফিল করবো।
প্রশ্ন : সামাজিক গণমাধ্যম নিয়ে কখনো কোন সমস্যায় পড়েছেন?
ঈশানা খান : হুম পড়েছি। এক লোক আমার এক ফেক একাউন্টের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। যখনই সময় পেতেন তখনই কথা বলতেন। তার স্ত্রী এ বিষয়ে মহা টেনশনে পড়ে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তখন আমি তাকে দেখালাম যে, এই একটি একাউন্ট থেকেই আমি ফেসবুকে আছি। আপনার স্বামী যার সঙ্গে কথা বলেন তিনি আমি নই। তারপর তিনি হাফ ছেড়ে বাঁচেন। আসলে, আমাদের কমন সেন্সের অভাবে আমরা ফেব একাউন্ট সনাক্ত করতে পারি না। অভিনয় শিল্পীরা যথেষ্ট ব্যস্ত থাকেন। তাদের চ্যাটিং করার মতো এতো সময় কোথায়?