সিটি নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিওজেএ’র নিন্দা

পিবিএ: ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থকদের হামলায় সংবাদিকদের আহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-বিওজেএ’র সভাপতি জাহিদ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক এম ইব্রাহীম সরকার।

ভোটের দিন বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বিওজেএ’র নেতৃবৃন্দ বলেন, এ হামলায় আবারো প্রমাণিত সাংবাদিকরা স্বাধীন ভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। সাংবাদিকদের জীবনের মূল্য এতো কমে গেছে যে সাধারণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলেও তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকরা কাজের আগ্রহ হারাবে।

বিবৃতিতে বিওজেএ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নির্বচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন সুমন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাজেহাল ও হেনস্থার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। অনেক গণমাধ্যম কর্মীর মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। রাজধানীর পৃথক ভোটকেন্দ্রে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামিনিউজ.কমের রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, প্রেস বাংলা এজেন্সি-পিবিএ’র বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য জিসাদ ইকবাল, দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান আলোকচিত্রী শেখ হাসান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক মাহবুব মমতাজি, ডেইলি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদক নূরুল আমিন এবং পরিবর্তন ডটকমের ফটো সাংবাদিক ওসমান গনি।

বিওজেএ নেতৃবৃন্দ সকল ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করতঃ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা যদি এসব ঘটনার বিচার না পায় তাহলে দেশের বিচার ব্যবস্থা হুমকির মুখে পরবে এবং সেই সাথে নেতৃবৃন্দ হামলায় আহত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবী জানায়।

পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...