সিন্ডিকেটের কবলে সিশেল শ্রম বাজার!

পিবিএ, সিশেল থেকে মো:হাবিবুর রহমান : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর আত্মঘাতী চুক্তির মাধ্যমে কারো পক্ষেই সম্ভব না বোয়েসেল এবং বিএমটিএ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে সিশেল এ কাজ করতে আসা। এ নিয়ে বিস্তারিত জানুন মঙ্গলবার।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মালয়েশিয়া: শ্রমিকদের ৮ হাজার কোটি টাকা ১০ এজেন্সির পেটে। দুই বছরে দুই লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৫ জন শ্রমিক মালয়েশিয়ায় গেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। গড় অভিবাসন ব্যয় তিন লাখ ৩৭ হাজার টাকা ধরলে শ্রমিক বাণিজ্যে ৯ হাজার ২১৬ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। সরকার নির্ধারিত টাকা নিলে লেনদেন হতো ৯১৮ কোটি ১৯ লাখ ২৩ হাজার ১২৪ টাকা। অর্থাৎ এজেন্সিগুলো অতিরিক্ত নিয়েছে আট হাজার ২৯৭ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ টাকা। অবশ্য সংশ্লিষ্ট জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া এক লাখ ৬০ হাজার টাকা করেই নিয়েছে, তার বেশি নয়। কিন্তু তাদের এই দাবি সঠিক নয় বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

মালয়েশিয়ায় জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো সিন্ডিকেটের ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির একটি আইএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। ওই দুই বছরে ৩৮ হাজার ৫৬৬ জন কর্মী পাঠিয়ে শীর্ষে আছে আইএসএমটি।
এর পরই বেশি কর্মী পাঠিয়েছে রুহুল আমিন স্বপনের ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল—৩৮ হাজার ৪৩৮ জন। ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড কর্মী পাঠিয়েছে ৩৩ হাজার ২৯১ জন। আল ইসলাম ওভারসিসের ম্যানেজিং পার্টনার জয়নাল আবেদীন জাফর পাঠিয়েছেন ২৮ হাজার ৪০৬ জন। আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক রুহুল আমিন পাঠিয়েছেন ৩১ হাজার ১৯২ জন; সানজারি ইন্টারন্যাশনাল ২২ হাজার ৫৬৯ জন; মেসার্স রাব্বি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বশির পাঠিয়েছেন ২১ হাজার ৭২৯ জন, ক্যারিয়ার ওভারসিস কনসালট্যান্স লিমিটেডের পরিচালক এ এস এম খাইরুল আমিন ১৮ হাজার ৭৩১ জন; মেসার্স প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা পাঠিয়েছেন ২২ হাজার ৫৩৪ জন এবং প্যাসেজ অ্যাসোসিয়েটস পাঠিয়েছে ১৮ হাজার ১৯ জন কর্মী।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...