পিবিএ,সিরাজগঞ্জ: করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরনকারী এক ব্যক্তির লাশ রাতের আধারে সতর্কতার সাথে গোপনীয়ভাবে সিরাজগঞ্জের মালসাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর থানা পুলিশ তার লাশ দাফন করেন। এর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার স্ত্রী মরদেহ ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসেন। মৃতুবরনকারী ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউপির গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। সে রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ছিল। সে দীর্দিন সিঙ্গাপুরে ছিল। নার পাশাপাশি ওই ব্যক্তি কিডনি রোগেও ভুগছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
সদর থানার এস.আই আবু জাফর জানান, করোনা সন্দেহের কারনে হোম কোয়ান্টোইনে থাকা অবস্থায় সোমবার সকালে ওই ব্যক্তি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। যেহেতু মৃত্যু ব্যক্তির আত্মীয় স্বজনের বাড়ী সিরাজগঞ্জে তাই তার পরিবারের লোকজন প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে সিরাজগঞ্জে দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শেষ ইচছা অনুযায়ী তার স্ত্রী মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মরদেহ সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসেন। আসার পরপরই সতর্কতার সাথে লাশ নামিয়ে মালসাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান, সিরাজগঞ্জে তার জানাযা হয়নি। লাশ দাফনের পরই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলে যায়।
দাফন কাজে অংশ নেয়া সাংবাদিক সোহাগ লুৎফুল কবির জানান, আগেই কবর খোড়া ছিল। আমি গিয়ে দেখি তিনজন ব্যক্তি নরমাল পিপিই পড়ে লাশকবরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি পিপিই পড়া অবস্থায় ছিলাম। তাই কবরে নামানোর জন্য লোক কম থাকায় পুলিশ সদস্যদের অনুরোধে আমি লাশ কবরে নামাতে সহায়তা করি এবং দাফনকার্য সম্পন্ন করি। তিনি আরো জানান, আমি যতদুর পুলিশের কাছ থেকে শুনেছি ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, এবং অ্যাম্বুলেন্স যোগে তার স্ত্রী ওই মৃতদেহ সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমানকে এ ব্যাপার বার বার মোবাইল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পিবিএ/সোহাগ লুৎফুল কবির/বিএইচ