সোহাগ হাসান,সিরাজগঞ্জ: সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি দীর্ঘদিন ধরে। যাতে করে যুবলীগের নাম দিয়ে কোন অপকর্ম না হয়, কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পারে যুবলীগ। যুবলীগের ইমেজ সংকট দূর করতে বিতর্কিত, মাস্তান, দখলবাজ, স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার কারো আর যুবলীগ করার সুযোগ নেই। যুবলীগ হবে সবচেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন সংগঠন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) শহরের এস. এস রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির কাছে পৌর যুবলীগের আহবায়ক হওয়ার জন্য সিভি জমা পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজসেবক আবু মুসা। এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ হাসান শহীদ চঞ্চল, সঞ্চয় সাহা ও আলহাজ্ব সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছে যুবনেতা আবু মুসা বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগ সাংগঠনিকভাবে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। আমি সবসময় সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগের ১৫টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। তাদের যেকোন সমস্যা মোকাবেলায় পাশে থেকেছি। তাদের সুখে ও দুঃখে পেশে থেকে কাজ করছি। এ জন্য তাদের উজার করে দেওয়া ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে প্রতিটি ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র গোলাম মোস্তাফাকে সঙ্গে নিয়েই সিভি জমা দিলাম। আমি আহবায়কের দায়িত্ব পেলে পৌরসভার প্রতিটি ইউনিটে যুবলীগে স্বচ্ছ ইমেজ ফিরিয়ে আনাই হবে আমার চ্যালেঞ্জ। যুবলীগের প্রতিটি ইউনিটে স্থান পাবে মুজিব আদর্শের ত্যাগী নেতারা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিবেদিত রাখবে। এমন চিন্তা-চেতনা থেকেই সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক হতে চাই আমি।
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতি পরিচিত মুখ আবু মুসা। শহরে বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সংগ্রামী যুবনেতা হিসেবে আবু মুসা সকলের আস্থাভাজন। বংশপরম্পরায় আওয়ামী রাজনীতিতে আবু মুসা পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য্য।
আবু মুসা সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেসের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির পাঠচুকিয়ে প্রবেশ করেন যুবরাজনীতিতে। তিনি ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি মঈন উদ্দীন খান চিনু ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হাকিমের হাতধরেই পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। সেই তখনই থেকেই বিএনপি-জামায়াত বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা যুবলীগের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ৫/৭ বার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এমনকি বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমায় কারাবরণ করেছেন। তবুও রাজনীতি থেকে পিছুপা হননি।
রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিহিংসাভাবে ২০১৬ সালে আবু মুসার ছোট ভাই সিরাজগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তার পিতা মরহুম ছানোয়ার হোসেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন সময়ে কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছেন।
যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ হাসান শহীদ চঞ্চল, সঞ্চয় সাহা ও আলহাজ্ব সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষে আহবায়ক-যুগ্ম-আহবায়ক পদে আসতে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত আহবান করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল-২০২৪ইং তারিখের মধ্যে আগ্রহীদের সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের দপ্তর শাখায় জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক পদে ২ জন ও যুগ্ম-আহবায়ক পদে ৩ জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।