পিবিএ ডেস্ক: ইদানিং গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনার খবর প্রায় শোনা যায়। আর এটি যে কত মারাত্মক সে কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটা জরুরি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে কোথাও ফাটা বা ছিদ্র আছে কিনা বা গ্যাসের নব ঠিক মতো বন্ধ করা হয়েছে কিনা ইত্যাদি।
কী কী উপায়ে এড়ানো যায় সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা:
• গ্যাস বন্ধ করে রান্নাঘর থেকে বেরনোর আগে অবশ্যই দেখে নিন গ্যাসের পাইপটি যেন কোনও ভাবেই গ্যাস ওভেনের গরম বার্নারের গায়ে লেগে না থাকে।
• অনেকেই গ্যাস জ্বালানোর লাইটার বা দেশলাই ব্যবহারের পর সেটি সিলিন্ডারের উপরেই রেখে দেন। খেয়াল রাখবেন, সিলিন্ডার গরম হতে পারে এমন কোনও কাজ করবেন না। গ্যাস ওভেন, সিলিন্ডার বা গ্যাসের পাইপ কখনওই যেন খুব কাছাকাছি এসে না পড়ে! সব সময় এগুলির মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
• পাইপ পরিষ্কার রাখতে অনেকেই গ্যাসের পাইপের গায়ে কোনও কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে রাখেন। এমনটা কখনওই করবেন না। কারণ, এ ক্ষেত্রে পাইপ থেকে গ্যাস লিক হলেও তা ধরা পড়বে না।
• একই পাইপ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। নিরাপত্তার খাতিরে প্রতি ২-৩ বছর পর পর গ্যাসের পাইপ বদলে ফেলুন।
• অনেকেই পাইপ পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করেন। এমনটা কখনওই করবেন না। কারণ, এর ফলে মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারে। গ্যাসের পাইপ পরিষ্কার করার জন্য শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। পাইপটি খুব নোংরা হলে মোছার কাপড়টি হালকা করে জলে ভিজিয়ে নিন। সেই ভেজা কাপড় দিয়েই পরিষ্কার করুন গ্যাসের পাইপ।
• গ্যাসের পাইপটির গায়ে বা সিলিন্ডারে ‘আইএসআই’ চিহ্ন আছে কিনা, তা দেখে নিতে ভুলবেন না। ‘আইএসআই’ চিহ্ন না থাকলে সেই সিলিন্ডার বা পাইপ অবিলম্বে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ফেরত দিন।
• রান্নাঘর থেকে বেরনোর আগে সিলিন্ডারের মুখ সেফটি ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
• রান্নাঘরে ঢুকেই গ্যাসের গন্ধ পেলে তখনই বাইরে বেরিয়ে আসুন। ওই অবস্থায় কোনও সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চালু করবেন না। মনে রাখবেন, রান্নার গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি। ফলে গ্যাস লিক করলেও তা মেঝের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। তাই প্রাথমিক ভাবে কাপড়, তোয়ালে বা হাতপাখার সাহায্যে হাওয়া দিয়ে গ্যাস রান্নাঘরের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝলে বা গ্যাসের গন্ধে সারা বাড়িময় ভরে যাচ্ছে বুঝলে দেরি না করে খবর দিন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার হেল্প লাইন নম্বরে।
পিবিএ/এএইচ