সিলেটে ট্রেনে যাত্রীদের নাজেহাল করে হিজড়াদের চাঁদাবাজি

পিবিএ,সিলেট: যাত্রাপথে ট্রেনে হিজড়াদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি, এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুর্লভ। হিজড়ারা সাধারণ মানুষকে অর্থের জন্য কম-বেশি হয়রানি করে থাকে। কিন্তু ইদানীং হিজড়ারা আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ করেই এসে চাঁদাদাবি করে। না দিতে চাইলে পরিবার পরিজনদের সামনেই অশ্নীল ভাষা, ধাক্কাধাক্কি, সবার সামনে নগ্ন হতে চাওয়াসহ বিভিন্ন অশ্নীল আচরণ ও তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি করে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে মা, বাবা, সামনেই হিজড়াদের কাছে অসহায়ত্ব স্বীকার করছেন ট্রেন যাত্রীরা।

বিশেষ করে ঢাকা – সিলেট ও চট্টগ্রাম সিলেটগামী ট্রেনগুলোতে এভাবেই হিজড়াদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে আসছেন ট্রেন যাত্রীরা। ব্রিজমোড় ও বাস ট্রেন বিভিন্ন রেল ষ্টেশনে এদের বেশি দেখা যায়। ফলে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা এদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে।

রেল ষ্টেশনে ট্রেন থামলেই হিজড়ারা দ্রুত ট্রেনে উঠে এবং টাকা দাবি করে। ২০ টাকা চাইলে ২০ টাকাই দিতে হবে, কম নেবে না। এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর তারা জুলুম চালায়। মান-সম্মানের ভয়ে সাধারণ যাত্রীরা তাদের টাকা দিতে বাধ্য হয়। এমনকি ছাত্ররাও এদের হাত থেকে রেহাই পায় না। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার হৃদয় ইসলাম নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে পিবিএ’কে বলেন,আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাই,শায়েস্তাগঞ্জ ষ্টেশনে ট্রেন দাড় করলে একদল হিজরা ট্রেনে উঠে এবং আমার পরিবারের সাথে হিজরারা দেখি খারাপ আচরণ করছে।

আমি প্রথমে তাদের অবস্থটা দাড়িয়ে দেখি,যখন দেখলাম ওরা একটু বেশি করে ফেলছে,তখন আমি বাদা দিলে তখনই তারা আমার পরিবার পরিজনদের সামনে আমার শরীলে হাত দিয়ে খারাপ আচরণ শুরু করে,বলে তুই টাকা দিবে কি না বল,তখন সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমি বাধ্য হয়ে তাদেরকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। সরকার হিজড়াদের বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ ছাড়াও আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। তারপরও এদের অত্যাচার ও চাঁদাবাজি থামছে না। এক শ্রেণীর মানুষ হিজড়াদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিজড়া সেজে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন, এটাই প্রত্যাশা করেন সাধারণ ট্রেনের যাত্রীরা।

পিবিএ/এএম/ এমএসএম

আরও পড়ুন...