সিলেটে প্রভাষক হত্যার ঘটনায় দুই তরুণ তরুণীর দায় স্বীকার

সিলেটে প্রভাষক হত্যার ঘটনায় দুই তরুণ তরুণীর দায় স্বীকারপিবিএ,সিলেট: নিখোঁজের পরদিন উদ্ধার হওয়া কলেজ প্রভাষক সাইফুর রহমান হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে জড়িত দুই তরুণ-তরুণীকে।

নিহত সাইফুর সিলেটের মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতৈল ছগমা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

উল্ল্যেখ যে গত ৩১ মার্চ সকালে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সুনামগঞ্জ বাইপাস রোডে লতিপুর নামক স্থানে একটি অজ্ঞাত নামা পুরুষ বয়স অনুমান (৩০) বছর এর মৃত দেহ পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক মৃত দেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হল- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আলমপুর গ্রামের নজির আলীর ছেলে মোজাম্মিল হোসেন (২৪) ওসিলেট মহানগরীর শাহপরান থানা এলাকার দত্তগ্রাম ক্ষিদিরপুর এলাকার শফিকুর রহমানের মেয়ে নিশাত তাসনিম রুপা (২০)।

সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম ৩য় আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার দক্ষিণ সুরমার তেলিরাই নামক স্থান থেকে অপ্সাতনামা হিসাবে সাইফুর রহমানের (২৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের মা মা রনিফা খাতুন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মোঃ জেদান আল মুসা জানান,গ্রেফতারকৃতদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত নিশাত তাসনিম রুপার সহিত তাহার মতের বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা, বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্কের সময় ধারনকৃত ভিডিও, স্থির ছবি, মিথ্যে কাবিননামা প্রকাশ সহ তাহার পরিবারের সদস্যদের হুমকী প্রদানের কারণে সে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গত ৩০ মার্চ সকাল ৮:০০-৮:৩০ টার সময় এমসিকলেজ সিলেট ক্যাম্পাসে সাইফুর রহমানের সাথে দেখা করে এবং তাকে বিশ ও ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত সেমাই খেতে দেয়। সেমাই খাওয়ার পর ভিকটিম সাইফুর রহমান নিশাত তাসনিম রুপাকে নিয়ে সিলেট সোবহানীঘাটস্থ হোটেল মেহেরপুরে নিয়ে যায় এবং ওই হোটেলের ২০৬ নং কক্ষে উঠে। কক্ষে উঠার কিছুক্ষণ পর ভিকটিম সাইফুর কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়লে নিশাত তাসনিম রুপা তাহার সাথে থাকা রশি দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মৃতদেহটি আসামী মুজাম্মিল হোসেনের সহায়তায় বের করে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকার সিলেট সুনামগঞ্জ বাইপাস এলাকার লতিপুর নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। ধৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত নং- ৩য় মো. সাইফুর রহমানের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।,

পিবিএ/এইচ/হক

আরও পড়ুন...