সিস্টিক ফাইব্রোসিস’ বা বংশগত রোগের লক্ষণগুলো কী

পিবিএ ডেস্কঃ সিস্টিক ফাইব্রোসিস একধরনের জেনেটিক ডিসঅর্ডার যার মূল আক্রমণ ঘটে ফুসফুসে। তবে অগ্ন্যাশয়, লিভার, কিডনি, অন্ত্র কোনওটাই এর প্রভাব থেকে বাইরে নয়। এর যেকোনও একটিতে এর আক্রমণ হতে পারে। যেহেতু জিনঘটিত রোগ, তাই পিতা-মাতা বা পূর্বপুরুষের হাত ধরে এই রোগ শরীরে প্রবেশ করে। পরে তা আপনার হাত ধরে আপনার পরবর্তী প্রজন্মের শরীরেও ঢুকতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। জিনগত রোগ যেমন হেমোফিলিয়া, ডাউন সিনড্রোমের কারণে সারা ভারতে অনেক মানুষ আক্রান্ত হন। এছাড়া এই সিস্টিক ফাইব্রোসিসও এমন রোগ যা বিপদ ডেকে আনতে পারে সহজেই। এই রোগে সেরে ওঠা প্রায় অসম্ভব। কোনও জায়গায় সংক্রমণ হলে তা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কমানো যেতে পারে। তবে রোগ নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই রোগের লক্ষণগুলি কি হতে পারে তা জেনে নিন একনজরে।

নিরন্তর কাশিঃ এই রোগে আক্রান্তদের নিরন্তর কাশির সমস্যা হতে পারে। একবার কাশি শুরু হলে তা এক মিনিট থেকে শুরু করে ঘণ্টাখানেকও চলতে পারে।

অন্ত্রে সমস্যাঃ সিস্টিক ফাইব্রোসিস হলে গ্যাস্ট্রো-ইন্টেস্টিনাল সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি ভাব হতে পারে।

মানসিক সমস্যাঃ শিশুদের সিস্টিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যে মানসিক নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়, মানসিক স্থিরতা আসতে সময় লাগে।

শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধাঃ সিস্টিক ফাইব্রোসিসের সমস্যা শুরু হলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্য়াও হতে পারে। শ্বাস কম পড়া, সাইনাসের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।

পুরুষদের বন্ধ্যাত্বঃ কিছুক্ষেত্রে সিস্টিক ফাইব্রোসিসের কারণে পুরুষদের মধ্যে বন্ধাত্বের সমস্যা আসতে পারে। স্পার্ম কাউন্ট কম যায় ও শীঘ্রপতনের সমস্যা হতে পারে।

ওজন কমে যাওয়াঃ এ রোগে আক্রান্ত হলে ওজন কমে যায়, খিদে কমে যায়, ক্লান্তি আসতে শুরু করে। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...