সীতাকুণ্ড শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণ: দগ্ধ সবার শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত

শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে আহতদের সবারই শ্বাসতন্ত্র কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা ১০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় তিনি এসব তথ্য জানান।

চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, দগ্ধ শ্রমিকদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ, আহমদ উল্লাহর ৯০, কাশেমের ৩৫, সাগরের ২৫, আল-আমিনের ৮০, মইনুলের ৮০, হাবিবের ৪০, বরকতের ৫০, আনোয়ারের ২ এবং রফিকের ১০ শতাশ পুড়ে গেছে। এছাড়া রফিকুল ও সাইফুল নামের দুই শ্রমিকের কানে সমস্যা হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপইয়ার্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হন ১২ শ্রমিক।

উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ওই জাহাজভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজে কাটিংয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। জাহাজটির পাম্প রুমের ভেতরে কাটিংয়ের কাজ করার সময় হঠাৎ সেখানে থাকা একটি ট্যাংকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পাশাপাশি কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশ। এসময় পাম্প রুমের ভেতরে জাহাজ কাটার কাজ করা ১০ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

কারখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. শওকত আজাদ জানান, স্ক্র্যাপ জাহাজটি কাটার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। দুপুরে জাহাজের শেষপ্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এসময় হঠাৎ পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন...