সুনামগঞ্জে ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলসহ শিশু ধর্ষণকারি গ্রেফতার

পিবিএ, সিলেট: সুনামগঞ্জের দুর্গম সীমান্ত পল্লীতে দরিদ্র শ্রমিকের ৯ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের সাত দিন পর কথিত সালিস বৈঠক থেকেই জালাল মিয়া (৩২) নামের এক ধর্ষণকারিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

রাজধানীতে ৩০ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেফতার ৭শুক্রবার রাত ৮টায় ছাতক থানা পুলিশ উপজেলার দুর্গম সীমান্তপল্লী বৈশাকান্দি বাহাদুর পুর গ্রামে চলা কথিত সালিস বৈঠক থেকেই ভারতীয় একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাকে গ্রেফতার করে।
সে ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বনগাঁও গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে।

ভিকটিমের অভিভাবক সুত্রে জানা যায়,উপজেলার বনগাঁও গ্রামের জালাল গত শুক্রবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী বৈশাকান্দি বাহাদুরপুর গ্রামে কাজ দেয়ার নাম করে এক দরিদ্র শ্রমিকের বাড়িতে যায়। ওই দিন শ্রমিকের ফাঁকা বসতঘরে ওই শ্রমিকের ৯ বছরের শিশুকন্যাকে জালাল জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। শিশু কন্যার বাবা মা বাড়ি ফিরলে তাদেরকে ও পাড়া প্রতিবেশীর নিকট ঘর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।এরপর রাতেই আইনি সহায়তা ও চিকিৎসা নিতে ভিকটিমকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন ছাতক উপজেলা সদরে যেতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সালিস ও কঠোর বিচারের আশ্বাসে তাদেরকে উপজেলা সদরে যেতে বাঁধা দেন।

অভিযোগ রয়েছে, ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন সালিসী ধর্ষণকারীর নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থীক সুবিধা নিয়ে ভিকটিমমের পরিবারের লোকজনকে সালিসের নামে নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। ঘটনাধাপা দিতে শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে ভিকটিমের গ্রামেরবাড়ি লাগোয়া সাজানো সালিস বৈঠকে বসেন অভিযুক্ত ধর্ষণকারিকে নিয়ে ওই ইউপি সদস্য ও সালিসীগণ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তির শংকায় এলাকার লোকজন শুক্রবার সালিস বৈঠক চলাকালে ছাতক থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে ঘটনাটি অবহিত করেন।

থানা পুলিশ রাতে বৈশাকান্দি বাহাদুরপুর গ্রামে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পেয়ে চলমান সালিস বৈঠক থেকে ধর্ষক জালালকে একটি ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে থানায় নিযে যায়।
শুক্রবার রাত সোয় ৮টার দিকে ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল হাই’র বলেন, আমি এখনো ঘটনা তদন্ত করছি, দেখি কী করা যায়।

সালিসে ধর্ষণের মত ঘটনা নিষ্পক্তি করা আইনসিদ্ধ কী না? এমন প্রশ্নের উওরে পিবিএকে বলেন, আমি ও কয়েকজন গ্রাম্য মুরুব্বী মিলে চেষ্টা করেছিলাম বিষয়টি মিটমাট করে দিতে। কিন্তু গ্রামের কিছু যুবক মোবাইল করে থানা পুলিশ ও ইউএনও ম্যাডামকে জানালে আর তা সম্ভব হয়নি।,
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ছাতত থানার ওসি (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন পিবিএ’কে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তকে একটি ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

পিবিএ/এইচএস/হক

আরও পড়ুন...