সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারধর, পাঁচজন রিমান্ডে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার এ আদেশ দেন। প্রত্যেক আসামিকে ৩ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

রিমান্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক। এদের মধ্যে আইনজীবী ওসমান চৌধুরী বিএনপি সমর্থক বাকিরা সরকার সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থক।

পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গ্রেপ্তার এই ৫ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে ৫ আসামির পক্ষে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন বাতিল করে জামিন চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ৫ জনেরই ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় আইনজীবী নাহিদ সুলতানাসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ২০ জন আসামির মধ্যে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলও, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথী।

মামলায় এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ওসমান, আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা, সাইদুর রহমান, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন, মশিউর রহমান, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। তারা সবাই আইনজীবী। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...