পিবিএ ডেস্ক: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামি ছাড়াও তদন্তে ঘটনার সঙ্গে আরো সাত জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নামও রয়েছে। চার্জশিটভুক্তদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জেলার ২ নং আমলি আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করে।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকেলে ২ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের কাছে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বর চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
২ জানুয়ারি গভীর রাতে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশ।
পরে ৪ জানুয়ারি এক জরুরি বৈঠকে রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
পিবিএ/এএইচ