সুস্থ থাকতে সকাল-সন্ধ্যা যে আমল করবেন

শারীরিক সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নিয়ামতগুলোর একটি। সুস্থতা যে কত মূল্যবান- অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা কেউ অনুধাবন করতে পারে না। অসুস্থতা ও রোগ-বালাই কেউই কামনা করে না। তবুও নানা সময়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্বলতা ও রোগ পেয়ে বসে।

রাসূল (সা.) সুস্থ-সবল থাকার বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বলেছেন, ‘দুর্বল মোমিনের চেয়ে সুস্থ-সবল মোমিন অনেক উত্তম।’

কারণ সুস্থ-সবল না থাকলে সঠিকভাবে আল্লাহর ইবাদতও করা যায় না। এজন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিমিত জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। এছাড়াও ব্যক্তির সুস্থতা কিন্তু শুধু ব্যক্তির নিজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ব্যক্তির সুস্থতা তার নিজের, পরিবারের, কর্মক্ষেত্রের, দেশের এবং সর্বোপরি ইবাদত-বন্দেগির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যত বেশি সুস্থ থাকতে পারবে, সে তত বেশি ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। দেশের ও মানুষের জন্য তত বেশি অবদান রাখতে পারবে। তাই সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে- যেন তিনি সব সময় সুস্থ রাখেন। অসুস্থতা ও রোগ থেকে মুক্ত রেখে ইবদত-বন্দেগি ও ভালো কাজের তাওফিক দান করেন।

আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি (আরবি :)—

اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِى – اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ – اَللَّهُمَّ عَافِنىِ فِىْ بَصَرِىْ – لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণেন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)

আরও পড়ুন...