পিবিএ ডেস্ক: মানুষের চোখ যদি উচ্চশক্তি সম্পন্ন গামা রশ্মির বিচ্ছুরণ দেখতে পারতো তবে চাঁদ তাদের চোখে সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল হয়ে উঠত। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা এজেন্সি নাসা। ফেরমি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে গামা রশ্মির প্রভাবে চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন বস্তুকণার বিস্ফোরণের ছবি প্রকাশ করার পর তারা এ দাবি করেছে।পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটির ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পেতে নাসা ফেরমির বৃহৎ এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য বানানো টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশে চাঁদের অবস্থানের ভিত্তিতে এর মাঝখানে একটি আলোর ঝলকানি সনাক্ত করে। যা খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়।
নাসা ২০২৪ সাল নাগাদ আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে মানুষকে আবার চাঁদে পাঠাতে চায়। এছাড়াও তাদের মঙ্গলগ্রহে নভোচারি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মূলত এই অভিযানগুলোকে সামনে রেখেই গামা রশ্মির বিচ্ছুরণ সংক্রান্ত গবেষণা করছিল নাসা। সেইখানে চাঁদে অবতরণের পর গামা রশ্মির বিরুদ্ধে নভোচারিদের কি ধরণের সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মহাজাগতিক এই রশ্মির বিচ্ছুরণে চাঁদের অভাবনীয় উজ্জ্বলতা গবেষকদের নজরে আসে। পরে আরও গবেষণার মাধ্যমে নাসা জানতে পারে, ১ বিলিয়ন ইলেক্ট্রন ভোল্টের বেশি শক্তি সম্পন্ন গামা রশ্মির প্রভাবে সূর্যকে উজ্জ্বল দেখায় কিন্তু চাঁদের ক্ষেত্রে এ ধরণের কোন সীমারেখা নেই।
তাই, যদি উচ্চশক্তি সম্পন্ন গামা রশ্মির বিচ্ছুরণের সময় বৃহৎ এলাকা পর্যবেক্ষণের জন্য নির্মিত টেলিস্কোপের (এলএটি) সাহায্যে আমরা চাঁদের দিকে তাকাই তবে চাঁদকে সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
পিবিএ/বাখ