পিবিএ,নোয়াখালী: সেনবাগের ছাতারপাইয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে দু’গ্রপের সংঘর্ষে অন্তঃত ৩০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ছাতারপাইয়া সোনাইমুড়ী সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় ব্র্যাক অফিস হতে শারমিন মেডিকেল পর্যন্ত উভয় গ্রুপের তান্ডবে রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
এতে ছাতারপাইয়া বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছাতারপাইয়া সোনাইমুড়ী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।হামলাকারীরা ইউপি সদস্যের মটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আশপাশের ১০টি বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়।
দুপুরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে ৬ রাউন্ড গুলিবর্ষন ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সামছু (৪৮) মন্নান(৫৫) মুন্না(৩০) ও সাখাওয়াত (২৬)। উভয় গ্রুপের গুরুত্বর আহতরা হলেন, রাসেল(৩৫) রাজু(২২) বসর (৩৫) মারুপ(২৩) রোমান (১১) ছালা উদ্দিন (৩০) নুর মোহাম্মদ (৪০) রিয়াজ (২৫) মহরম (৩০) বশির (২৫), ছালা উদ্দিন (১৮) ও মাছুম (১৯)।
আহতদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী, বজরা, ও নোয়াখালীতে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা পিবিএ’কে জানান,ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ড্রাইভার লাভলু ও ১নং ওয়ার্ডের মাওলার নেতৃত্বে জেলা আ’লীগনেতা আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের স্থানীয় মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা শেষ হবার ৪ মিনিট আগ পর্যন্ত লাভলুর টিম ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে। গোল দেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে খেলাটি পন্ড হয়ে যায। এর জের ধরে রাতে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।
সকালে স্হানীয়রা দুগ্রুপের মধ্যে বিচার শালিসের কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১ টায় ৪ নং ওয়ার্ডের রিক্সাচালক মারুপ (২৩) কে ১ নং ওয়ার্ডের লোকজন মারধর করার ঘটনা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নেয়।
সেনবাগ থানার ওসি ( ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আলী পাটোয়ারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পিবিএ’কে বলেন,পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদের নেতৃত্বে পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এবং দুই থানার পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পিবিএ/মোঃইব্রাহিম/ ইকে