মেজবাহুল হিমেল, রংপুর: সরকারী ও বেসরকারী ক্ষেত্রে যৌনবাহিত রোগ ব্যবস্থাপনা সেবা সমন্বিত করার লক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা’ আয়োজন করে। মঙ্গলবার সকালে রংপুর জেলার সিভিল সার্জন অফিস কার্যালেয়ের কনফারেন্স রুমে উইএনএফপি এর সহায়তায় লাইট হাউস অনুষ্টিত হয়।
সরকারী ও বেসরকারী চিকিৎসকগণ যাতে করে তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে মান সম্মত এসটিআই সেবা নিশ্চিতকারণ ও তা জোরদারকরণের লক্ষে একসাথে কাজ করতে পারে সেই উদ্দ্যেশ্যে এই অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়। রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)-স্বাস্থ্য ডাঃ সুলতান আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ একেএম নুরুন্নবী লাইজু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কামরুন নাহার জুই, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নবীউর রহমান এবং কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবু এমডি জাকিরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ চন্দন কুমার রায়।
সভায় মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ চন্দন কুমার রায়। সভাটি পরিচালনা করেন রংপুর লাইট হাউস প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম সুমন।
অ্যাডভোকেসি সভায় লাইট হাউসের উপ-নির্বাহী প্রধান কেএসএম তারিক সূচনা বক্তব্যে সভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং উন্মুক্ত আলোচনায় এসটিআই সেবাকে আরো শক্তিশালীকরণে সকল অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান মতামত দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহন করেন রংপুর সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়, রংপুর পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডাঃ শেখ মোঃ সাইদুল ইসলাম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান তাজসহ অন্যান্যরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশের সকল নাগরিকের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এই প্রয়োজন নিশ্চত করার লক্ষে দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না এবং এই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়টি আমরা গোপন রাখতে চায় তাই প্রয়োজন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন। এই ক্ষেত্রে সরকারী ও সেরকারী সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। অ্যাডভোকেসি সভায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ফলাফল ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
পিবিএ/এসডি