সেমাই উৎপাদনে ব্যস্ত লক্ষ্মীপুরের কারিগররা

পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বাজারের চাহিদা মেটাতে শেষ মুহুর্তেও সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লক্ষ্মীপুরের কারিগর ও শ্রমিকরা। বছরের দু’ঈদেই সেমাই তৈরিতে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তীব্র গরমের ফলে বর্তমানে কারখানায় উৎপাদনের কাজ চলছে বিকাল থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত।এবার শুধুমাত্র জেলার বিসিক শিল্পনগরীর সুলতানিয়া বিস্কুট বেকারীতে উৎপাদন হচ্ছে সুলতানিয়া সেমাই।

জানা যায়, ময়দা আর পানির মিশ্রণে খামির তৈরি করা হয়। সে খামিরকে ডালডা দিয়ে প্রক্রিয়া করা হয়। পরে খামিরগুলোকে হাতের সাহায্যে কয়েক ঘন্টা টেনে টেনে পেঁচিয়ে কাঁচা সেমাইয়ে পরিণত করা হয়। এরপর গরম তেলে ভেজে তৈরি করা হয় লাচ্ছা সেমাই। এখানকার খোলা ও প্যাকেটজাতকৃত সেমাই জেলার বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে পরিবেশকের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

পরিবেশকদের কাছে খোলা কেজিতে ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ধরে বিক্রি করা হয়। পরিবেশকরা বাজারের দোকানগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সেমাই ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন।
শ্রমিকরা জানান, কোন রকম রং ও ক্যামিকেল ছাড়াই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে তীব্র গরমের কারণে দিনের বেলায় কাজ করছেনা শ্রমিকরা। বিকাল থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত কাজ করছেন।

বিসিক শিল্পনগরীর মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, জেলায় সেমাইয়েল ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পুঁজি ও শ্রমিকের অভাবে মাল সরবরাহ দিতে পারছেন না। এছাড়াও সেমাই তৈরির কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট, মজুরি ও ঘর ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিটিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরেও গুণগত মান বজায় রেখেই সেমাই বাজারজাত করছেন।

পিবিএ/এফএইচ/হ

আরও পড়ুন...