পিবিএ ডেস্ক: মানুষের সাথে গরিলার ডিএনএ-এর প্রায় ৯৭-৯৮% মিল রয়েছে।এরা বানরের মতই অনুকরণপ্রিয়। ছবিতে দুটি গরিলাকে দেখা যাচ্ছে ভদ্রবেশে পোজ দিতে। তবে সেলফি কালচারে তাদের খুব একটা আগ্রহ আছে বলে মনে হচ্ছে না।নেহায়েত দায়ে পড়ে পোজ দিতে হচ্ছে আর কি! শত হলেও গুরুজনদের কথা তো মানতেই হয়।
এরা মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর ভারুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের এতিমখানার বাসিন্দা।যিনি সেলফি তুলছেন, তিনি ঐ পার্কের একজন রেঞ্জার।পার্কটি ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত।গরিল দুটোর একটির বয়স মাত্র ২ মাস এবং অন্যটির ৪ মাস।তারা এতিম শিশু গরিলা।শিকারীদের হামলায় বাবা-মা হারানো গরিলাদেরকে এখানে রাখা হয়। রেঞ্জাররা তাদের দেখাশুনা করে।
পার্কটির উপপরিচালক বিবিসি নিউজডে প্রোগ্রামে বলেন,গরিলা দুটো তাদের তদারকারী মানুষদেরকে অনুকরণ করতে শিখেছে। গেরিলা দুটোকে খুঁজে পাওয়ার পর থেকে যারা তাদের দেখভাল করছে গেরিলারা ওই রেঞ্জারদেরকেই তাদের বাবা-মা বলে মনে করে।
গরিলা দু’টির বাবা-মা ২০০৭ সালের জুলাইয়ে নিহত হয়েছে বলে বিবিসি-কে জানান তিনি। ছবি তোলার সময় গরিলা দুটির বয়স ছিল মাত্র ২ এবং ৪ মাস।
সাড়া ফেলা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে,তারা মানুষকে অনুকরণ করেছে। একেবারে মানুষের মতই পোজ দিয়ে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা।
পার্কের উপপরিচালক বলেন,“এমন সাধারণত ঘটে না। গরিলা মানুষের মত পোজ দিচ্ছে এটি খুবই বিস্ময়কর… আর তাই বিষয়টি মজার। গরিলা কিভাবে মানুষকে দেখে তার মত করে উঠে দাঁড়িয়ে আছে- তা খুব কৌতুহল নিয়েই দেখার মত একটি ব্যাপার।”
ছবিটি প্রসঙ্গে পার্কটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেলফি তোলা গরিলা দুটির প্রতিটির ওজন ৪০০ পাউন্ড (সাড়ে চার মণ) পর্যন্ত হতে পারে।
বিপজ্জনক সেলফি তোলা প্রসঙ্গে ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, স্থানীয় পুরুষ ও নারীদের বাছাই করে টানা ৬ মাস ব্যাপক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে পশুশিকার ঠেকানোর জন্য রেঞ্জার তৈরি করা হয়ে থাকে। এসব পশুদের সঙ্গে তারা নিজেদের বেশ মানিয়ে নিয়েছে।
পিবিএ/এএইচ