মো: জাকির হোসেন, পিবিএ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : নীলফামারীর সৈয়দপুরে সূর্য রায় (৩৫) নামে এক বখাটের উত্যক্ত সহ্য করতে না পেরে সুমী রানী (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় ২ মার্চ (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুমীর মা ময়না রানী নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পরিবারের লোকজন জানায়, শনিবার বিকেলে বাড়ীতে একা পেয়ে গোসলখানায় ওই বখাটে সুমীকে উত্যক্ত করে। এ সময় সুমীর পালিত ভাই বকুল চন্দ্র বাড়িতে এলে বখাটে সূর্য রায় পালিয়ে যায়। সে তাকে আটক করার জন্য বাড়ির বাইরে আসে। এরই ফাঁকে লজ্জায় সুমী নিজ শোয়ার ঘরে গিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত সুমী রানী সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ভুজারীপাড়ার দিনমজুর হরেন চন্দ্র রায়ের কন্যা। সে বাঙ্গালীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
দুই সন্তানের জনক বখাটে সূর্য রায় ওই গ্রামের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন ইজিবাই চালক।
সুমীর মা ময়না রানী জানায়, দীর্ঘদিন থেকে সুমীকে উত্যক্ত করতো বখাটে সূর্য। উত্যক্ত করার ঘটনা সূর্য ও তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কর্ণপাত করে নাই।
সুমীর পিসি জোসনা রানী জানান, সূর্য অনেক দিন থেকেই সুমীকে উত্যক্ত করছে। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই সে সুমীকে হাত ধরে টানা হেচরা করতো। যা আমরাও দেখেছি। কিন্তু সূর্যকে তার পরিবারের লোকজন বাধা না দেয়ায় সে আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সুমীর পরিবারের প্রতি চাপ দিয়ে যাচ্ছে বখাটে সূর্য রায়ের লোকজন। ওয়ার্ড মেম্বার বজু সুমীর বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করার জন্য চাপ দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল বলেন, হত্যার মামলায় ৩০৬ ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করার জোর চেষ্ঠা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আসামী একজন লম্পট চরিত্রের।
পিবিএ/জেএইচ/জেডআই