সৈয়দপুরে পশুখামারে জোড়া খুনের দায় স্বীকার করেছে নৈশপ্রহরী রাজ্জাক

পিবিএ, মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর: নীলফামারীর সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে পশুখামারে জবাই করে দম্পতি খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে প্রধান আসামী নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে পুলিশ নৈশপ্রহরী রাজ্জাককে হাজির করলে সে বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সৈয়দপুর থানায় প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছেন, নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল।

তিনি আরো জানান, আব্দর রাজ্জাক তার দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে মামলার বাদী সোহেল তাকে মানষিক ভাবে নির্যাতন করতো এবং মালিক দম্পতি ঠিক মতো বেতন দিতো না। ছুটি কাটাতে দিতো না। নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে তার নামে কুৎসা রটনা করতো। সেই মেয়ের সাথে বিয়ের চাপ দিতো। যা নিয়ে বিচার-সালিশী বৈঠক হয়েছিল। ঘটনার রাতেও ওই দম্পতির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বচসা হয়। এরই জের ধরে প্রথমে সালমা বেগমকে এবং পরে নজরুল ইসলামে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৭ জানুয়ারী সকালে খাতামধুপু ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের লিজ নেয়া নিজ পশুখামার থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী নজরুল ইসলাম(৬৫) ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের (৫৫) জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ গুরুতর আহত ওই খামারের নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল ভর্তি করে।

সেদিনেই নিহত দম্পতির ছেলে সোহেল একটি হত্যা মামলা দোয়ের করে। আসামীরা হলেন, ডিমলার বাবুর হাটের খয়রাত হোসেনের পুত্র কেয়ার টেকার আব্দুর রাজ্জাক(৪৫), খাতামধুপুর বালাপাড়ার হাজী আসলামের পুত্র সজল (২৫), সজলের বন্ধু সুজাত পিতা অজ্ঞাত, কাউয়া (৫০) পিতা : অজ্ঞাত।

চিকিৎসায় সুস্থ্য হওয়ার পর পুলিশ মঙ্গলবার তাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে হাজির করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পিবিএ/জেএইচ/এইচএইচ

 

আরও পড়ুন...