পিবিএ ডেস্ক: সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ইরান হামলা চালিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও বিমান তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে উল্লেখ করে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে ইরান। সৌদিতে হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করায় রোববার দেশটি যুদ্ধের এই হুমকি দিয়েছে।
শনিবার সৌদি আরবের তেল উৎপাদনকারী আরামকো গ্রুপের দুটি তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। এই হামলার ফলে সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের ৫০ শতাংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমনকি বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। বৈশ্বিক তেল সরবরাহে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মোসাভি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরান পুরোমাত্রার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
“প্রত্যেকর মনে রাখা উচিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটি এবং যুদ্ধবিমান আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে এগুলোর দূরত্ব মাত্র ২ হাজার কিলোমিটার।”
সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল জায়ান্ট কোম্পানি আরামকো বলছে, তেল স্থাপনা আক্রান্ত হওয়ায় দৈনিক ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন তেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে; যা সৌদির মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক।
পিবিএ/এমএসএম