৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন বর্ষার (৩০) করা মামলায় অভিনেতা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর রাসেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সবুজবাগ থানায় রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন বর্ষা।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দেই। কিন্তু তাতে সন্তোষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
এজাহারে সুমাইয়া আফরিন আরও বলেন, আমি ভবিষ্যৎ সুখের আশায় বিবাদীর নির্যাতন সহ্য করে ঘরসংসার করতে থাকি। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী বাসায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
এসময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করার পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।
এদিকে রোববার রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে লাইভে রাসেল মিয়ার নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুমাইয়া আফরিন বর্ষা৷ ওই লাইভে তিনি দাবি করেন, বিয়ের তিনদিন পর থেকেই রাসেল মিয়া যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
২০২২ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ নামে একটি সিনেমা। যেখানে নায়ক ও পরিচালকের দ্বৈত ভূমিকায় ছিলেন রাসেল মিয়া। সেসময় রাসেলের একটি বক্তব্যেকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হয়। মুক্তির পর এই নায়ক নিজ সিনেমাকে ‘পাপ মুক্ত’ সিনেমা বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও ‘ভাইয়ারে’ অজু নিয়ে দেখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন। গত ১৮ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বর্ষার সঙ্গে পরিচয় হয় রাসেল মিয়ার। সেখান থেকেই একটা সময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।