ফরহাদ হোসেন,পিবিএ, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গোপনে পালিয়েছে উম্মে সালমা (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার জামিরতলী গ্রামের ওই গৃহবধূ পালিয়ে যায়।
এরপর সম্ভাব্য সব আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর বাবা আবুল কালাম। এতে উম্মে সালমাসহ ৩ জনকে আসামী করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান।
জানা গেছে, উম্মে সালমা সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের তোয়ার বাড়ির আবদুল হাকিমের মেয়ে। ২০১২ সালের শেষ দিকে পারিবারিকভাবে উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের জামিরতলী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নুর আলমের সঙ্গে উম্মে সালমার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৬ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে নুর আলম বিদেশ যায়। এরপরই উম্মে সালমা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হয় বলেও জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে নগদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গোপনে পালিয়ে যায় উম্মে সালমা। এসময় শিশু পুত্রকেও সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। এরপর উম্মে সালমার বাবার বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।
বাদী আবুল কালাম বলেন, উম্মে সালমা আমার পুত্রবধূ। সে পালিয়ে গিয়ে আমার পরিবারের মানসম্মান ধূলোয় মিশিয়ে দিল। তার মা-বাবা আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে। কিন্তু তারা নিজেদের মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত নয়। আমি আমার পুত্রবধূ ও নাতির সন্ধান চাই।
অভিযোগ উঠেছে, পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে উম্মে সালমা। এতে তার বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতা রয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন উম্মে সালমার বাবার বাড়ির লোকজন। তার মা উম্মে হানি বলেন, উম্মে সালমা কোনো ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে কিনা তা আমরা জানি না।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে সালমার সন্ধান এখনও পাওয়া যায় নি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পিবিএ /ফরহাদ/জেডআই