ফারজানা খানম সারথি,রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেইনগেট সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কসহ বিনোদপুর, কাজলা সড়কে স্পিডব্রেকার, ওভার ওভারব্রিজ নির্মাণ, গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ২০-২৫ কিমি, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা এই পাঁচটি দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েসন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।সেসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক এফ আর এম ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় রাবির সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, ‘এখানে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকরাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ পথ দিয়ে চলাফেরা করে। রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় সকলকেই ঝুঁকিতে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। কোনো শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার স্বীকার হলে এর দায় তার পরিবার আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এখনো সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে দ্রুতই স্পিড ব্রেকার ও ওভারব্রিজ হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস’।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এস এম রিজন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘একটি জীবন আবারও হারাক সেটি কি আপনারা চান? স্পিড ব্রেকার ও ওভারব্রিজের বিষয়ে যদি আপনারা ব্যবস্থা না নেন, তাহলে বলুন, আমি রাস্তার গিয়ে আবারও জীবন দিবো। আমরা এখন শ্রেণি কক্ষে ক্লাস করার কথা, আমাদের কেন যৌক্তিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত মানববন্ধন করতে হবে? আমাদের সময়ের অনেক দাম আছে। আমাদের দাবিদাওয়া যদি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবো’।
এছাড়াও, স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী সজীব তার বক্তব্যে বলেন, ” আমরা চাই অনতিবিলম্বে কাজলা, মেইনগেট ও বিনোদপুরের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হোক এবং বিনোদপুরের নির্মাণাধীন যে ওভারব্রিজ রয়েছে তা কাজলায় নির্মাণ করা হোক। আমরা হবিবুর রহমান হলের সামনে হিমেলকে হারিয়েছি আমরা আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক সেটা চাইনা। আমরা সুস্থ অবস্থায় মায়ের কোলে ফিরে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, এরআগেও স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েসন কর্তৃক প্রসাশনকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।