সশরীরে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) একাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৭তম সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় চুয়েট প্রশাসন।
আজ (বৃহস্পতিবার) চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- স্নাতক পর্যায়ের লেভেল ৪ টার্ম ১ (১৬ ব্যাচ), লেভেল ৩ টার্ম ২ (১৭ ব্যাচ), লেভেল ২ টার্ম ২ (১৮ ব্যাচ) এবং লেভেল ১ টার্ম ২ (১৯ ব্যাচ) এর পূর্বঘোষিত চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘ ১৮ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার পর বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা ভিন্ন ভিন্ন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সশরীরে গ্রহণের সময়সূচিও প্রকাশ করেছিলো চুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে কোভিড- ১৯ এর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের ঢেউ চুয়েটকে আবারো থামিয়ে দেয়।
শেখ রাসেল হল, শামসেন নাহার খান হল, বঙ্গবন্ধু হল, ড. কুদরতে খুদা হলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আবাসিক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হন। অনেক শিক্ষার্থীর শরীরে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। টেস্ট না করিয়েই হলে অবস্থান করছেন এমন অনেক শিক্ষার্থী।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সাথে সাথে প্রশাসনের কাছে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রায় ৭টি দাবিসহ একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
তবে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক হলগুলো এই মুহূর্তেই পুনরায় বন্ধ করছে না চুয়েট প্রশাসন,শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেমিস্টার পরীক্ষা গুলো অনলাইনে গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলেও হলগুলো খোলা থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, চুয়েটে আবাসিক হল আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। শেষ বর্ষের (১৬ ব্যাচ) বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ নিবেন।
তিনি আরো বলেন, ধারাবাহিক ভাবে চলমান বাকি তিন ব্যাচের অর্থাৎ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ (১৭ ব্যাচ), ২০১৮-১৮ শিক্ষাবর্ষে (১৮ ব্যাচ) এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ (১৯ ব্যাচ) অনলাইন পরীক্ষার জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নোটিশ আকারে জানিয়ে দিবো।