পিবিএ, সিলেট: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের হুসনে আরা পারভীন (৪০)। মসজিদে গোলাগুলির খবর শুনে পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে বাঁচাতে ঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।
সব সময়ের মত গতকাল স্থানীয় সময় শুক্রবারও অসুস্থ স্বামীকে মসজিদে পৌঁছে দিয়ে নিজেও মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে যেয়ে নামাজ পড়তে থাকেন। এমন সময় মসজিদে গুলির শব্দ শুনে স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যান তিনি। কিন্তু স্বামী আহত হলেও গুলিতে প্রাণ হারান পারভীন। নিহত হুসনে আরা পারভীন উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুন নূরের মেয়ে।
নিউজিল্যান্ডে ওই হামলায় হুসনে আরা পারভীনের নিহতের ঘটনার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহত পারভীন তার স্বামী, এক মেয়ে ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে থাকতেন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে।
পারভীন-ফরিদ দম্পতির ১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে যান। ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে জানায় সিলেটে বসবাসরত তাদের পরিবার ও স্বজনরা।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ জন। নিহতদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ড. আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপক রয়েছেন। হামলার শিকার ‘মসজিদে নুর’-এর মোয়াজ্জিন হিসেবেও দায়িত্বপালন করতেন ড. সামাদ।
পিবিএ/এএইচ