স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী অপহরণের মামলা

পিবিএ,রংপুর: রংপুর নগরীতে এবার মাধবী থেকে যখন সুমাইয়া তখন স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী অপহরনের মামলা দায়ের করেছে শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের কুকরুল এলাকায়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মামলার পরে পুলিশ স্বামী মমিনুরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গত রবিবার আদালতে স্বামী মমিনুরের পক্ষে বিজ্ঞ কৌশলী জামিন আবেদন করলে আদালত কাগপত্র পর্যালোচনার পরে তাকে জামিন প্রদান করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, রংপুর নগরীর ৪ নং ওর্য়াডের আমাশু কুকরুল এলাকার সুভাষ চন্দ্রের বড় মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা মাধবী রানী (২৬)’র সাথে নগরীরছিলমল এলাকার জোনাব আলীর পুত্র মমিনুর ইসলামের (৩০) সাথে দীর্ঘদিন থেকে মন দেয়া নেয়া চলছিল। পরবর্তীতে মাধবী রানী ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখে নোটারী পাবলিক উপস্থিত হয়ে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে মুসলাম ধমে ধামান্তরিত হয়ে নিজ নাম মাধবী রানী পরিবর্তে সুমাইয়া আক্তারে পরিচিতি হয়। ১৪ এপ্রিল/১৯ ইং তারিখে মমিনুরের সাথে মুসলিম শরিয়া মোতাবেক নোটারী পাবলিক ও নিকাহ রেজিষ্টার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

এদিকে সুমাইয়ার বাবা সুভাষ চন্দ্র মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে রংপুর পরশুরাম মেট্রেপলিটন থানায় ১৮মে/১৯ ইং তারিখে ৩ জনকে আসামী করে মামলা করে (যারনং ৭/৪১)। মামলার পরপরেই সেই দিনেই পুলিশ মমিনুর ও স্ত্রী সুমাইয়াকে গ্রেফতার করে ১৯মে আদালতে হাজির করে। আদালত মমিনুরের ¯স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে ,মমিনুরকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।

মমিনুরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, সুমাইয়া আদালত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্বামী মমিনুরের বাড়িতে উঠে। গত ৫ জুন ঈদের দিনে সুমাইয়া আক্তার শ্বাশুরী ছামচ্ছুর নাহারকে সাথে স্বামীর মমিনুরকে জেল হাজতে দেখতে যায়। ফেরার পথে বাবা সুভাষ চন্দ্র মেয়েকেজোর পূর্বক তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মমিনুরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সুম্ইায়া আক্তারকে পাওয়া যাচ্ছে না এই মর্মে কোতয়ালী থানার একটি সাধারণ ডাইরী করে(যারনং২০২)। পরবর্তীতে ৮ই জুন রফিকুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সুমাইয়াকে উদ্ধারের জন্য পরশুরাম থানায় একটি অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে দেখাগেছে, সুমাইয়া আক্তার বাবার বাড়ি আমাশু কুকরুলেসিথিয় সিদুর পরিহিত আতংক গ্রস্থ্য অবস্থায় রয়েছে। তার সাথে দেখা এবং কোন লোকজনকে কথা বলাও নিষেধ। তাকে অনেকটা পাহারা দিয়ে রাখা হয়েছে তার আগের স্বামী বিপুল মিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য।
সুমাইয়ার মামা মোহন চন্দ্র জানান, আমার ভাগনী মাধবী রানী ভুল করে মমিনুরের সাথে চলে গিয়ে ছিল। সে এখন আগের স্বামী বিপুল চন্দ্রের কাছে যাবে। বিপুলকে ডাকা হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে এসে তাকে নিয়ে যাবে।

সুমাইয়ার মা অয়ন্তী রানী বলেন, আমার মেয়ের অনেক টাকা মমিনুর নিয়েছে। তাকে আমরা কোনদিন জামাই হিসাবে মেনে নিব না।
সুমাইয়া সাথে কথা বলতে চাইলে একাকি কথা বলার সুযোগ না দিলেও অনেকটা পাহারারত অবস্থায় কথা বলা গেছে। তিনি বলেন, আপনী কোন স্বামীর কাছে যাবেন সে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

পরশুরাম থানার ইনচার্জ মোহছে-উল গনি বলেন, আমরা আসামী এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আদালত ভিকটিমকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে এখন তার যেখানে ইচ্ছা সেখানে অবস্থান করতে পারবে।

পিবিএ/এস আই/ হক

আরও পড়ুন...