পিবিএ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা সংক্রমণসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সারাবিশ্বকে একযোগে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ মহামারি থেকে একে অপরকে রক্ষা করতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে কর্মক্ষেত্র, বাসস্থান এবং বহিরাঙ্গণে সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবার যে লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই।
মুজিববর্ষেই শোভন ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমজীবী মানুষের অকান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকের জীবনমান ও কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, শোভন কর্মপরিবেশ হোক সবার’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এই প্রতিপাদ্যের সাথে গৃহীত সকল কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা শ্রমিকদের জন্য শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। এছাড়া আমাদের সরকার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাকবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি সাধিত হচ্ছে।
তিনি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
পিবিএ/বিএইচ