ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রেখে এগিয়ে যেতে হবে। খুনিদের দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে, যাতে স্বৈরাচারী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার নিজেদের অভিশপ্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিল। শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সবাই ছিল মজলুম, আর তারা ছিল জালিম। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, অধিকার হরণ, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়াসহ এমন কোনও কাজ নেই, যা তারা করেনি।
তিনি বলেন, আপামর জনসাধারণ ছাত্রবিক্ষোভের সঙ্গে নিঃস্বার্থভাবে একাত্মতা পোষণ করে এবং স্বৈরাচার পতনের একদফা দাবিতে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়। ছাত্র-জনতার জীবন, রক্ত ও হতাহতের মধ্য দিয়ে এই দেশবিরোধী অপশক্তির পতন হয়। সুতরাং এই সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের জমিনে আর রাজনীতি করার কোনও অধিকার নাই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী কালীন সরকারে যারা দায়িত্বে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে এদেশের মানুষ। যে বক্তব্যে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়, দ্বিধাবিভক্ত হয়, দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য ছাত্র-জনতা প্রত্যাশা করে না। এদেশে ভারতের মতো প্রকৃত অর্থে কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় নাই। কারণ, এদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ। অতীতে যত হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ হয়েছে, সব হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থে। আজকে যারা সংখ্যালঘু ট্রাম কার্ড ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারাই মূলত সংখ্যালঘুদের শত্রু।