স্বৈরাচারের দোসররা পোশাক শিল্পে অস্থিরতা তৈরি করছে

দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে স্বৈরাচারের দোসররা পোশাক শিল্পে অস্থিরতা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শ্রমিক ঐক্যের সভাপতি এম এ ফয়েজ। তিনি বলেন, প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় বেতন-ভাতার কোনো সমস্যা নেই।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

এক সপ্তাহ ধরে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা চলছে উল্লেখ করে এই শ্রমিকনেতা বলেন, একের পর এক পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। এরই মধ্যে আশুলিয়া-সাভার-গাজীপুরের প্রায় দুই শতাধিক কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু কারখানা শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত আন্দোলনে বন্ধ হলেও বেশির ভাগ কারখানা পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতকারীদের হামলা-ভঙচুরের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের শিল্পখাত ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচারের দোসররা উঠেপড়ে লেগেছে।

এসময় তিনি পোশাক শিল্প রক্ষায় সাভার-আশুলিয়া, মিরপুর, ইপিজেড অঞ্চলসহ দেশের সব পোশাক শিল্প এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনীকে শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ নেতা ও বিজিএমইএর সাবেক কিছু নেতার ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা চলছে জানিয়ে আতিকুর রহমান বলেন, তাদের উদ্দেশ্য গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া। স্বৈরাচারের সরকারের দোসর বিজিএমইএর বিগত নির্বাচনের ভোট ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড কিছু নেতা ও তাদের দলীয় স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্পে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে থেকে শ্রমিক নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে পোশাক শিল্পে অরাজকতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা লিপ্ত আছে।

তিনি বলেন, কারখানাগুলোতে চাকরির দাবিতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষদের পাঠিয়ে ‘চাকরি চাই’ স্লোগান দিয়ে কারখানাগুলোতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। প্রকৃত গার্মেন্টস শ্রমিকরা কোনোভাবেই এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। শ্রমিকরা কখনো তাদের কারখানা বন্ধ হোক তা চায় না। আমরা অবিলম্বে গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছে এবং যারা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি কারখানাগুলোতে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায়। পাশাপাশি যেসব কারখানা বাস্তবিকভাবে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে অসন্তোষ চলছে তা অবিলম্বে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন...