পিবিএ, ঢাকা : সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর ভূয়া এপিএস সেজে ভুয়া চাকুরির তদবির, ভুয়া প্রশ্নপত্র ও সমাধান এবং ভূয়া নিয়োগ পত্র দেখিয়ে অর্থ হাতয়ে নয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছ র্যাব -২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ডিএমপি ২৩ এপ্রিল রাতে ঢাকার বনানী থানাধীন মহাখালী কাঁচা বাজারস্থ ঢাকা হোটেল এর ২য় তলার ১০৩ নং কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে কামরুজ্জামান (৪৬), পিতা-মৃত আবু বক্কর শেখ, সাং-কাপাশহাটি, থানা-অভয়নগর, জেলা- যশোর ও আব্দুল মমিন (৪৬), পিতা-মৃত বদু মিয়া, সাং-মিরপুর-১৪, বাসা নং-১৮৯, রোড-১১০, গোয়াল বাড়ী, উত্তর ইব্রাহিমপুর, থানা-কাফরুল, ডিএমপি, ঢাকাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদ্বয়ের দেওয়া তথ্যমতে ডিএমপি ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন তিলপাপাড়া হতে কামাল হোসেন (৪০), পিতা-মোঃ আবুল হাশেম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকালে আসামীদের দখল হতে নগদ টাকা, চেক বই, ১৭টি মোবাইল, নিয়োগ পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন ও সেনা বাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগ পত্র জব্দ হয়।
প্রতারক চক্র তাদের উদ্দেশ্য সফল ও মানুষের কাছে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য কখনো কখনো নিজেদের সামরিক বাহিনীর অফিসার, কখনো কখনো নিয়োগ বোর্ডে তাদের লোক আছে, কখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের পিএস/এপিএস, কখনো মেজর জেনারেল/ডিজি, এসএসএফ/মাননীয় সামরিক উপদেষ্টা মহোদয়ের এর বডি গার্ড পরিচয় দিয়ে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী পদগুলোতে নিয়োগ পরীক্ষাকালে দেশের বিভিন্ন জেলার সহজ সরল চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়ায় মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র ও সমাধান, ভূয়া নিয়োগ পত্র দেখিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট হতে নগদ টাকা তসরুপ করে আসছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরণের চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আনার কারণে এ প্রতিষ্ঠান জন মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অপরাধীরা নিত্য নতুন অপরাধ করছে, তার মধ্যে প্রতারণা অন্যতম। বিভিন্ন প্রতারক চক্র নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সম্পত্তি।
পরে একটি মামলা রুজু করে গেপ্তারকৃতদের বনানী থানায় সর্পোদ করা হয়।
পিবিএ/এমএ