পিবিএ,ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে হজে যাওয়ার নিবন্ধনের সময় তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। আগ্রহীদের দ্বিধায় না থেকে নিবন্ধন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। এরপরও নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৪৪০ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৭ হাজার ৬১ জন নিবন্ধন করেছেন। সময় আর বাড়ানো হবে না বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন যেতে পারবেন। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে হজ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। হজ নিবন্ধনের কার্যক্রম চলতে থাকে ধীরগতিতে।
ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিদেশিদের ওমরাহর অনুমতি এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য আগেই বন্ধ করেছে সৌদি আরব। এখন দেশটিতে লকডাউন চলছে। দেশটির সরকার হজের পরিকল্পনা চূড়ান্ত না করে পরিস্থিতি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। এমন অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে হজের নিবন্ধন করার সময় তিন দফায় বাড়ানো হয়।
এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, হজে যেতে ইচ্ছুকদের আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। এমনকি নিবন্ধনকারীরা হজে যেতে না পারলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়। অনেকেই সাড়া দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকার হজের অনুমতি দিলে যারা নিবন্ধন করেছেন তারাই যেতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘আমরা সবকিছু প্রস্তুত করে রাখছি। সৌদিতে হাজিদের থাকা, ফ্লাইট ভাড়া ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম রয়েছে। সৌদি সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলে সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করব।’
হজে যেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু হয় ১ মার্চ। সে সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রথম দফায় ২৫ মার্চ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ৮ এপ্রিল এবং শেষ দফায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়।
পিবিএ/এএম