পিবিএ,লালমনিরহাট: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে গত কাল রাতেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুরের পার ভেঙ্গে পানিতে ভেসে গেছে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ। গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টায় হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিমাপ করে দেখেছে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, তিস্তা ব্যারেজের উজানে পানির বিপদসীমা নির্ধারণ করা আছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্যারেজ এলাকায় পানি ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হলেও বুধবার ১৯ জুন পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা পাড়ের লোকজন পিবিএ’কে জানান, হঠাৎ ঢলে তিস্তার ২ ধারে বসবাসরত মানুষের কিছু ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।
তারা আরও জানান, সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সকল গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে ভাটিতে লালমনিরহাট অংশে তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে। দহগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় পানিশূন্য তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দহগ্রাম ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দেড় থেকে দুইশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি আদর্শ পাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে হঠাৎ করে পানি ডুকে পড়ায় পাড় ভেঙ্গে কয়েকটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে মৎস্য চাষী সিরাজুল হক, সেকেন্দার আলী ও রফিকুল মাষ্টার পিবিএ’কে জানান।
বুধুবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বজলে করিম পিবিএ’কে জানান, বর্তমানে তিস্তার পানি ৬০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তিস্তায় পানি প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এজন্য তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
পিবিএ/এসইএস/এমএসএম
