হতাশা থেকেই উত্তরখানে মা দুই সন্তান আত্মহত্যা করেছে

 

পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর উত্তরখানে গতরাতে উদ্ধার হওয়া দুই সন্তান ও মা তিনজনই অতিরিক্ত হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের স্বজনদের। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে স্বজনরা জানান, মৃত জাহানারার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাড়ি কান্দি গ্রামে। আর তার স্বামী ইকবাল হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা জগন্নাথপুর গ্রামে। ইকবাল হোসেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। ৩ বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এরপরে ওই দুই সন্তান এবং তাদের মা ঢাকার কাফরুলে তার বোনের বাসার পাশে থাকতেন। গত আড়াই মাস আগে তারা মা সন্তান তিনজনই ভৈরব চলে যান। সেখান থেকে চলতি মাসের ৫ তারিখ ঢাকায় এসে উত্তরখানের ওই বাসায় ভাড়া ওঠেন।

মৃত মুহিবের চাচা মোহাম্মদ হাসান উল্লাহ বলেন, জাহানারা গৃহিণী। ছেলেও বেকার। আর মেয়েটাও শারীরির ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মুহিবের বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। মৃত্যুর পর তার পেনশনের টাকায় চলছিলো তার পরিবার। এছাড়া তাদের পরিবারের তেমন আর্থিক সঙ্কট ছিলনা। মোটামুটি চলছিল তারা। ছেলেটা ৪০ তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে।

তিনি বলেন, মেয়ের বয়স ২০ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে এই মেয়েকে নিয়ে, তার ভবিষৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ ছিলো তারা। এই হতাশা থেকে তারা তিনজনই আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

মুহিবের মামা মনিরুল হক বলেন, আমি কুমিল্লাতে থাকি। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিল জাহানারা। আমাদের আরেক ভাই মুসলেউদ্দিন আমেরিকা প্রবাসী। জাহানারাকে আমরা প্রায় সময়ই সবাই মিলে সাহায্য-সহযোগিতা করতাম। মেয়েকে নিয়ে প্রায় সময়ই হতাশা প্রকাশ করতো জাহানারা। এখান থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা এমন করেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তবে অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই।

মৃত্যুর জন্য স্বজনদের অবহেলাচজ দায়ী লিখে যাওয়া এমন চিরকুটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কি কারণে তা আমার জানা নেই। তবে আমার জানা মতে তাদের সবাই খোজখবর নিতো ও সাহায্য করতো।

 

পিবিএ/এইচএ/হক

আরও পড়ুন...