হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাকে আদালতে হাজির; দুইজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ

পিবিএ,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সেই সাথে এই মামলায় চিকিৎসকসহ দুইজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এনিয়ে এই মামলার মোট ১৬জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।


বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদ কবির এর আদালতে এই জেরা সম্পন্ন হয়। এর আগে বুধবার (১৯ জুন) এমপি রানাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়।
টাঙ্গাইলের কোর্ট পরিদর্শক তানভীর আহাম্মেদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুই স্বাক্ষীকে হাজির করা হয়। এরা হলেন, চিকিৎসক আশরাফ আলী এবং পাবলিক আব্দুল আওয়াল। দুইজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামী পক্ষ থেকে তাদের জেরা সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়া টাঙ্গাইলে যুবলীগের দুই নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে করে তার আর মুক্তিতে কোন বাঁধা নেই।
বুধবার (১৯জুন) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও রুশো মোস্তফা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালিন সাংসদ আমানুর ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে।

পিবিএ/টিএ/হক

আরও পড়ুন...