হবিগঞ্জে যৌন উত্তেজক ঔষধে হাট-বাজার সয়লাব

পিবিএ,হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ শহরসহ জেলার হাট-বাজার গুলো এখন ভেজাল যৌন উত্তেজক ঔষধে সয়লাব হয়ে পড়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্য দিবালোকে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লেও নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় যৌন উত্তেজক ঔষধ নামক ‘নীরব ঘাতক’-এর করাল গ্রাসে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। অনুসন্ধানে জানা যায়, একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে অবাধে বিক্রি করে আসছেন মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক বিভিন্ন ঔষধ। বি.এস.টি.আই, ঔষধ প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে বিষয়টি এখন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

যৌন উত্তেজক ঔষধ

জেলা সদরের বিভিন্ন ফামের্সীসহ গ্রাম্য হাট-বাজারের স্টেশনারী ও মুদি দোকানেও ‘চিড়া-মুড়ির’ মত প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব ভুয়া ও ক্ষতিকর ঔষধ। এদের মধ্যে রয়েছে, জিনসিন, জিনসিন প্লাস, জিনজেন, জিনসা, এনজয়, নেক্সী, রেস, ইকলিপ, ভায়াগ্রাসহ নানা ব্র্যান্ড। এগুলোর যেমন নেই ড্রাগ লাইসেন্স, তেমনি নেই বি.এস.টি.আই’র অনুমোদন। শুধু তাই নয়, অনেক ঔষধের গায়ে নেই উপাদানের সঠিক বর্ণনা এবং উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীনের তারিখ।

সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হল, কারখানার সঠিক ঠিকানাও লেখা থাকেনা অনেক ঔষধের গায়ে। ফলে সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। ভোক্তারা জানান, মাঝে-মাঝে ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ঔষধের ব্যাপারে রহস্যজনক কারনে নীরব কর্তৃপক্ষ। তাদের উদাসীনতায় বিষয়টি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত, ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় এসব ঔষধ সেবন করলে অকালে যৌন শক্তি হারানোসহ কিডনী, লিভার ও হার্ট বিকল হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি হেলায় উড়িয়ে দেবার নয়। এগুলো নীরব ঘাতক, জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরুপ।

এ ব্যাপারে ভুক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম মাসুদ জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আছে। শীঘ্রই অভিযান পরিচালিত হবে। সচেতন মহল মনে করেন, ভূয়া ও ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা জরুরী।

পিবিএ/এনআই/আরআই

আরও পড়ুন...