পিবিএ,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়াা সদর উপজেলার অন্তর্গত হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন। বহু কালের, বহু ইতিহাস রয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী গ্রাম ঘিরে। হরিপুরের মোট আয়তন ২০ বর্গ কিলোমিটার প্রায়। মোট জনসংখ্যা ৪২, ৫৭৫ জন। ওয়ার্ড ৯টি এবং গ্রাম ১১টি। প্রাচীনকাল থেকেই কুষ্টিয়া জেলার সকল উন্নয়নের সারথী হয়েছে এই অত্র ইউনিয়নটি। চারিদিকে নদীবেষ্টিত শান্তি প্রিয় জনগোষ্ঠী কিছুদিন আগেও ছিলো নানা ভাবে অবহেলিত।
বর্তমান সরকারের হরিপুর বাসীদের চলাচলের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিকল্পে শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু জনসাধারণের জন্য টোল ফ্রি করে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করার মধ্যে দিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বাসিন্দাদের ভাগ্যে উন্নয়ন হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের আর্থসামাজিক জীবন মানের উন্নয়নের পাশাপাশি বদলে গেছে রাস্তা ঘাট তথা পুরো ইউনিয়নের মানুষদের জীবন বৈচিত্র্য।
ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ মানুষ কুষ্টিয়া শহরকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই ইউনিয়নের মানুষ একদিন কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না গেলে পুরো কুষ্টিয়া শহর অঘোষিত অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়ে যায়। প্রাচীন যুগ থেকেই এই ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতে পানি পথে বড় বড় লঞ্চ স্টিমারে বিভিন্ন দেশ হতে বিভিন্ন মালামাল স্বল্প খরচে আনা নেওয়ার কাজ করা হতো, সৃষ্টি হতো নতুন নতুন ব্যবসা বাণিজ্য। এই ইউনিয়ন ঘিরে অনেক ইতিহাস রয়েছে।
কিন্তু এই ইতিহাস সমৃদ্ধ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের উপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হয়। এই সুযোগে স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর হাতুড়ি ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার চিকিৎসা বান্ধব হওয়া সত্বেও এই ইউনিয়নে এখনো করা হয়নি উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক মানের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাটশ হরিপুর বাজারের উপর বহুদিন পূর্বে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত করা হলেও সেটা এখন পরিত্যক্ত।
সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে।
পিবিএ/কেএস/আরআই