মনির হোসেন জীবন,ঢাকা: সৎ ও বস্তু নিষ্ট সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুরুন নাহার হেনা।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা হল জাতির বিবেক ও সত্যের পূজারী। তারা সমাজের আয়না ও দর্পণ হিসেবে কাজ করে। আগামী দিনে হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে বিশ্বাস প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ গুলো তুলে এনে পরিবেশন করতে হবে। এছাড়া এর পাশাপাশি অসত্য ও মিথ্যা সংবাদ গুলো বর্জন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি উদ্বাত্ব আহবান জানান তিনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট’র ২ নং ভবনের (তৃতীয় তলায়) কনফারেন্স রুমে আয়োজিত “হলুদ সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার চর্চা শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় নুরুন নাহার হেনা হলুদ সাংবাদিকতার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং সব কিছুর ওপরে সাংবাদিকদের নৈতিক দায়বদ্ধতা সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বরোপ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে সুষ্টু ধারার সাংবাদিকতার বিষয়ে জোর দেন এবং সুষ্টু সাংবাদিকতা চর্চার জন্য প্রশিক্ষণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এখানে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। সংবাদ মাধ্যম্য ও গণমাধ্যমের মধ্যে কিছুটা প্রার্থক্য আছে।
তিনি আরো বলেন, হলুদ সাংবাদিকতার স্বরুপ এবং সাংবাদিকদের নীতি- নৈতিকতার চর্চা ও হলুদ সাংবাদিকতার সংবেদনশীলতাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ প্রতিস্থাপন করেন বুলবুল। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্টান) ড. মো: মারুফ নাওয়াজ’র সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আলোকপাত করেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, মো: নজরুল ইসলাম ও পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ, কে, এম আজিজুল হক।
এছাড়া কর্মশালায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট’র উপ- পরিচালক (টিভি অনুষ্টান প্রশিক্ষণ) সুমনা পারভীন এবং সমন্বয়ক – সহকারি পরিচালক (গণযোগাযোগ প্রশিক্ষণ) সাইফুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী এই কর্মশালা আজ সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪ টায় শেষ হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় কর্মরত মোট ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন।