পিবিএ ডেস্কঃ কাঁচা হোক বা পাকা, দুই ভাবেই কাঁঠাল খাওয়া যায়। এই গরমে আর ক’টা দিন পরই বাজারে কাঁঠালের দেখা মিলবে। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, থায়ামিন, রাইবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। আসুন কাঁঠালের কয়েকটি আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
১) হজমের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল খুবই উপকারি। কাঁঠালে রয়েছে এমন সব উপাদান যা পাকস্থলির আলসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।
২) কাঁঠাল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কাঁঠালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বাস্থ্যগুণ। থাকা ভিটামিন সি শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া কাঁঠাল রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
৩) কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
৪) কাঁঠাল হাঁপানির সমস্যায় অব্যর্থ ওষুধের কাজ করে! আয়ুর্বেদিক চিকিত্সায় বলা হয়, যদি কাঁঠালের শিকড় জলে ফুটিয়ে সেই জলটা খাওয়া যায় তাহলে হাঁপানির সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
৫) কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ (বিশেষ করে তামা) যা থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যে কোনও কড়া ওষুধ খাওয়ার আগে কাঁঠাল পথ্য হিসাবে খেয়ে দেখতে পারেন।
৬) কাঁঠাল রক্তশূন্যতার সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং শরীরের সর্বত্র রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
৭) কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ত অংশ (টক্সিক উপাদান) পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া কাঁঠালে থাকা উচ্চ মাত্রার আঁশ জাতীয় উপাদান কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৮) কাঁঠালে রয়েছে lignans, saponins ও isoflavones নামের ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট। অর্থাৎ, এই পদার্থগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী রয়েছে। এই পদার্থগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
পিবিএ/এমআর