পিবিএ চাঁদপুরঃ হাজীগঞ্জে আলী আজ্জম (৫৮) নামের এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছে নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪৮)। সোমবার হাজীগঞ্জ থানায় ৪ জনকে আসামি করে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। নিহত আলী আজ্জম উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের স্থানীয় নাটেহরা গ্রামের নাটেহরা দক্ষিণ পাড়া নাছির উদ্দিন সর্দার বাড়ীর বশির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন, একই বাড়ির মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে অহিদ (৩০) ও মো. জহির (৩৫), অহিদের স্ত্রী সীমা বেগম (২৫) এবং রিপনের স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (২৩)। এর আগে গত রবিবার রাতে শিশুকে আদর করা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আলী আজ্জম ও মৃত আ. খালেকের ছেলে রাসেদ (২২) গুরুতর আহত হয়।
পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলী আজ্জমকে মৃত ঘোষণা এবং রাসেদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি, পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) আব্দুর রশিদসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
জানা গেছে, রোববার সকালে মামলার প্রধান আসামি অহিদের ছেলে শিশু শামিম (৪) কে আদর করা নিয়ে বাদী সাজেদা বেগম ও তার ভাতিজা বউ বিউটির সাথে তর্ক-বির্তক হয়। এ খবর জানতে পেরে অহিদের স্ত্রী সীমা সাজেদা বেগমকে গালমন্দ করেন। পরে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এতে সীমা ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী অহিদ ও ভাসুর জহিরকে খবর দেন।
পরবর্তীতে রাতে নাটেহরা দক্ষিণ পাড়া দোকানের সামনে অহিদ ও জহিরের সাথে আলী আজ্জামের সাথে কথাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’পরিবারে মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয় আলী আজ্জম ও মৃত রাসেদ। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলী আজ্জামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতের স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রির্পোট এলে নিহতের প্রকৃত কারন জানা যাবে।
বাখ/মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ/ বাখ