পিবিএ, ঢাকা– হাজী সেলিম, পঙ্কজ দেবনাথ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারলে আমরা বিএনপি প্রার্থীরা কেনো করতে পারবো না এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি নাটোর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলে কনভিকশন আছে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি বাতিল করেন।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন চত্ত্বরে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
দুলু পিবিএকে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকালকে গণমাধ্যমে দেখলাম আওয়ামী লীগ ঘরানার একজন প্রত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরে একসঙ্গে এতোগুলো মনোনয়নপত্র কখনো বাতিল হয়নি। অর্থাৎ সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটা নির্বাচন চেয়েছিল। বিএনপি যেনো নির্বাচনে না আসে। তাহলে ৫ বছরের জন্য তারা আবার ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে।
তিনি বলেন, এবার বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার বিরাট অপরাধ করে ফেলেছে। আর এই কারণে যে সমস্ত প্রার্থী নিশ্চত জয় লাভ করবে পরিকল্পিতভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
দুলু আরো বলেন, আপনারা জানেন আমার মনোনয়নপত্র যেকারণে বাতিল করা হয়েছে- আবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমার নাকি কনভিকশন আছে। গত একবছর আগে আমি এটা সাসপেনশন করেছি এবং সাসপেনশন করলে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নাই।
গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজী সেলিম সাহেব ১৩ বছরের জেল নিয়ে যদি নির্বাচন করতে পারে, পঙ্কজ দেবনাথ আমার সঙ্গে প্রায় দুই, আড়াই বছর জেলে ছিলেন। দুদকের মামলায় তারও ১২ বছরের জেল আছে। তাহলে পঙ্কজ দেবনাথ, হাজী সেলিম যদি নির্বাচন করতে পারে। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ইকবাল হাসান টুকুসহ বিএনপি নেতারা কেনো নির্বাচন করতে পারবেন না?
তিনি বলেন, আমি মনে করি যেহেতু সরকার আমাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই দেয়নি। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আমরা যখন কাগজ জমা দিতে গেছি। আমরা জানতে চেয়েছি, কি কারণে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো? বলল, আপনারা আপিলে গিয়ে এই কথাগুলো বলুন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই- সরকার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেনো। আমরা বিশ্বাস করি। যে সমস্ত অভিযোগে অভিযুক্ত করে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই এগুলো তদন্ত করে, দেখে আমাদের মনোনয়নপত্র বহাল করবেন। এ কারণে আমাদের দল বিভিন্ন এলাকায় দুই, তিনজন করে প্রার্থী দিয়েছে। নিশ্চয়ই আপনারা আশ্চার্য হয়েছেন। এর পেছনে কারণই ছিল এটা। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, বিএনপির প্রার্থীদেরকে বাতিল করা হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমরা দেখতে চাই। সরকার কিভাবে গতবারের মতো ক্ষমতায় যায়। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। এই জনগণকে নিয়ে আগামী ৩০ তারিখে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র আমার মোকাবেলা করবো।
নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিলে সুবিচার না পেলে আমরা অবশ্য আদালতে যাবো। সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে যোগ করেন তিনি।
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ