পিবিএ,হাটহাজারী(চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার আওতাধীন ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা নাজিরহাট পর্যন্ত পাহাড়রে উপর ও নিচে ঝুকি নিয়ে বসবাস
করছে হাজার পরিবার। ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে যার কারনে ঝুকিপুর্ণ বসতি গুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিদের বলা
হয়েছে। সরেজমিন বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঝুকিপুর্ণ বসতি গুলোর দৃশ্য, দুর্যোগের মাঝেও তারা বাধ্য হয়ে বসবাস করছে ওই ঝুকিপুর্ণ স্থান গুলোতে। প্রতি বছর উপজেলা প্রশাসন ঝুকিপুর্ণ বসতি গুলো অন্যত্র সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হলেও অনেকেই তা মানছেন না।
বসবাসকারীদের অভিযোগ তারা যাবার মতো স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। বর্তমান আবওহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপুর্ণ বসতি গুলো অন্যত্র সরিয়ে থাকতে বলা হলেও বেশি ভাগ বসবাসকারীরা বলেন,পাহাড় ধসে প্রাণ গেলেও কী করার আছে? সরকার যত দিন ভূমির ব্যবস্থা করবে না, তত দিন ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে। এ দিকে গত কয়েক বছর ধরে এই উপজেলা পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বার বার প্রাণহানি এবং প্রশাসনের সতর্কতা সত্বেও পাহাড়ের পাদদেশ
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনা যাচ্ছে না।’ চট্রগ্রামের স্মরনকালের পাহাড়ধসের ঘটনা এখনো হাটহাজারীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্মরন হয়ে আছে। ২০০৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছিল। ২০০৮ সালে চট্রগ্রাম সেনানিবাস,এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের লোকজন পাহাড়ধসে প্রাণ হারায়। গত কয়েক দিন থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসরত এসব পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা পরিবারকে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্টানে স্থান করে দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাদে টিলা, গাছ কর্তন ও পাহাড় কেটে বিরান ভূমিতে পরিণত করার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে ঘন ঘন দুর্যোগ হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অধিকাশংই। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। এ সব বসবাসকারীদের প্রকৃত সংখ্যা জানা মুশকিল। কারণ যারা পাহাড়ে বসবাস করেন তারা অবৈধভাবে থাকছেন। এখন টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে এতে বাড়ছে পাহাড় ধ্বসে পড়ার আশংকা। যার কারনে এই দুর্যোগ মুহুর্ত্বে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে থাকতে হবে।
পিবিএ/মোহাম্মদ হোসেন/এসডি