হাটহাজারী ছিপাতলী গাউছিয়া মাদ্রাসায় ৩ দিন ব্যাপি সালনা জলসা

পিবিএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে ছিপাতলী জামেয়া গাউসিয়া মুঈনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা আজ দেশ বিদেশে ইসলামীর আলো ছড়িয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে দুর্গম এলাকায় এই মাদ্রাসাটি সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন ইসলামি শিক্ষাগুরু পীরে তরিকত আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী। প্রতিষ্ঠার পর হতে এই পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছর পাড় হতে চলেছে। আল্লমা আজিজুল হক আল কাদেরী ১৯৭৪ সালের ৩১মার্চ সবচেয়ে অবহেলিত ও অনুন্নত এক স্থান যেখানে রাতে যে দূরের কথা দিন দুপুরেও মানুষ আসতেও বয় পেতো,মসজিদে যোহর ও আসরের নামাজ হলেও মাগরিবের আযান হলেও নামাজ না পরে চলে যেতো আর এশার ও ফজরের আযানও নামাজ কোনটা হতো না। সেই জায়গায় এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্টার মাত্র ১২ বছরের মাথায় অত্র মাদ্রাসায় কামিল তাফসির ফিকাহ্ আদব বিজ্ঞান ও পরীক্ষা কেন্দ্র সহ সয়ং সম্পূর্ণ কামিল মাদ্রাসায় এমনকি মাষ্টার্স, অনার্স মাদ্রসা হিসেবে আজ এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার বর্তমান অধক্ষ্য শাহাযাদা মাওলানা আবুল ফরাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন পিবিএকে বলেন,ছিপাতলী জামেয়া গাউসিয়া মুঈনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে (হাদিস,কোরআন,আদদাওয়াত,ইসলামী স্টাডিস, মার্স্টাস, অর্নাস) ফাযিল অনার্স, কামিল, এমএ এমাদ্রাসায় রূপান্তিরত হয়। বাংলাদেশের হাতে গণা মাদ্রাসার মধ্যে এই মাদ্রাসাটি অন্যতম মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অত্র মাদ্রাসার সুনাম দেশের প্রত্যতন্ত অঞ্চলে চড়িয়ে পরে। এখান থেকে লেখা-পড়া করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বীনি ধর্ম মাযহার মিল্লাত তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের খেদমত করে যাচ্ছেন। মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। মাদ্রাসায় বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন বিভাগের সর্বমোট ৫০জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা ছাড়া ও ২০০০ অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।দেশের বিভিন্ন স্থানের ছাত্রদের থাকার জন্য সুন্দর হোস্টেলও রয়েছে।
মাদ্রাসার প্রতি বছরের মত ৯ই মার্চ উক্ত মাদ্রাসর বার্ষিক ৩ দিন ব্যাপি সালনা জলসা অনুষ্ঠিতহ য়েছে।এতে দেশে বিদেশে বরন্য বহু আলেম উলামা সাংবাদিক কবি, সাহিত্যিক উপস্থিত থাকবেন।

পিবিএ/কেএএস/হক

আরও পড়ুন...