পিবিএ,কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তিন নেতার উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন রাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পাঁচটি দাবি জানান নেতাকর্মীরা- অপরাধীদের গ্রেপ্তার, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরের অপসারণ, অস্ত্রধারী, অছাত্র ও খুনের মামলার আসামীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ করা, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, নিরাপদ ক্যাম্পাস। মানববন্ধন শেষে এসব দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন তারা।
মানবন্ধনে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে করা হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আড়ালে থেকে যিনি এসব কাজ করাচ্ছেন তিনি আমাদের প্রক্টর। এই ধরনের প্রক্টর শুধু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় না বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ছিল না। আমরা এই প্রক্টরের পদত্যাগ চাই এবং দ্রুত হামলাকারীদের বিচার চাই।’
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি এর পেছনে কিছু দাবী আছে। দাবীর পিছনে কিছু ঘটনা আছে। গত ছয় সাত মাস ধরে এই প্রক্টরের সাময়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। একটার একটার একটা ঘটনা ঘটেছে এর পিছনে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রক্টর রানা স্যারের ইন্ধন ছিল। আজ আমরা প্রক্টরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছি না, আজ আমরা এই ধরনের কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি।’
বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহারাতবির হোসেন পাপন, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন, কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশসহ নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৮ মার্চ) সদ্য বিলুপ্ত কমিটির তিন নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটে এবং একই দিন বিকাল ৫ টা থেকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরবর্তীতে দেড় ঘন্টা পর কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানের আশ্বাসে অবরোধ থেকে সরে আসে নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) বেলা তিনটায় ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।