ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। এই সংঘাতে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ জন। আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৬০০ জন। অন্য দিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ২০০ জন। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি।
জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান হতাহতের কারণে গাজাজুড়ে হাসপাতালগুলোতে লাশ রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিধ্বংসী বোমা হামলার কারণে গাজায় তিন লাখ আটত্রিশ হাজার ৯৩৪ জন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত থেকে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।
কাছাকাছি সময়ে মোটরচালিত প্যারা গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন হামাসের আরো কয়েক শ’ যোদ্ধা।