হামীম গ্রুপের জিএমকে হত্যা, গাড়িচালকসহ গ্রেফতার ৪

দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসানুল্লাহকে অপহরণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‍্যাব।

এই ঘটনায় জড়িত নিহত আহসানুল্লাহর গাড়িচালক সাইফুলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মূলহহোতা ও গাড়ি চালক সাইফুল।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারি মো. সাইফুল ইসলাম (৩৯), নূর নবী,মো. ইসরাফিল (১৯) ও মো. সুজন ইসলাম (১৯)।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আহনাফ রাসিব বিন আলম।

তিনি বলেন, গত ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হামিম গ্রুপের জিএম মো. আহসানুল্লাহ কর্মস্থল ত্যাগ করে বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় পরিবারের এ সংক্রান্তে র‍্যাবে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, জিএম আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে গাড়ি চালক সাইফুল সন্দেহজনক আচারণ করছিলো। পরিবার সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশের তুলে দিতে চান। ঠিক এ সময় সাইফুল টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় নিজ বাড়িতে চলে যায়। ২৫ তারিখ দুপুর ১২টার সময় জিএম আহসানউল্লাহর মরদেহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর হতে সনাক্ত করা হয়। মরদেহ সনাক্ত করার সাথে সাথে র‍্যাব-১ এবং র‍্যাব ১৩ অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে দ্রুততম সময় অভিযান পরিচালনা করে।

পরবর্তীতে আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং নূরনবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যে তাদের সঙ্গে ইসরাফিল ওরফে ইসরান এবং সুজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পুলিশের কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সূত্র ধরে গতকাল ইসরাফিল ওরফে ইসরানকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত তৃতীয় আসামি ইসরাফিল ওরফে ইসরান এর ব্যাপারে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। সর্বশেষ আসামী সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, অপহরণপূর্বক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ড্রাইভার সাইফুলকে সনাক্ত করা যায়। বাকি সবাই সহযোগী ছিল। তারা ঈদের পূর্বে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অপহরণ করে এবং জিএম আহসানুল্লাহকে নির্যাতন করার মাধ্যমে তার মৃত্যু ঘটায়।

এ দিকে ঈদের ছুটিতে এমন ঘটনা ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্যে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা ৩, ঈদের পূর্ব ও পরবর্তী সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলসভাবে কাজ করছে র‍্যাব। অপহরণ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ সবার আগে র‍্যাবকে জানাবেন। বিলম্বিত অভিযোগের কারণে আমাদের প্রায় সময় অভিযানের সফলতা অর্জন করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এ কারণে আপনাদের সহযোগিতা একান্তই কাম্য।

আরও পড়ুন...