পিবিএ ঢাকা: ‘ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের রংপুর বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে আমরা যদি শক্তিশালী হতে পারি, একইসঙ্গে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সুতরাং আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি যে কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, তা হলো, সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য ধৈর্য, মেধা এবং দৃঢ়তা। এবং আমরা জনগণের সমর্থন ব্যতিরেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকতে চাই না; কিন্তু জনগণ যদি সমর্থন দেয়, অবশ্যই আমরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসব।’
‘মানুষ উন্নয়নের কারণে ভোট দেয়, কিন্তু তার সাথে যদি কর্মীদের ঔদ্ধত্য থাকে তাহলে কিন্তু মানুষ বিরক্ত হয়’ এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে ড. হাছান বলেন, ‘গত ১১ বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সমস্ত বিশ্ব যার প্রশংসা করছে, পাকিস্তান আক্ষেপ করছে, ভারতবর্ষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করছে। এই উন্নয়নের বার্তাগুলো যদি জনগণের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারি এবং একই সাথে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যদি বিনয়ী হয়, যারা ঔদ্ধত্য আচরণ করে, তাদের যদি আমরা নিবৃত্ত করতে পারি, তাহলে জনগণ অব্যাহতভাবে আমাদেরই ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’
‘সরকার হচ্ছে দলের, সরকারের দল নয়; আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল, সে কারণে, দলকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন। সাংগঠনিক শক্তির কোনো বিকল্প নেই। তবে, পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের কারও কারও মধ্যে আলস্য এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু সুবিধাবাদীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন হয়েছে। সেখানে একটি বার্তা দেয়া হয়েছিল সংগঠনকে সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সেটি করা সম্ভব হয়েছে, পুরোপুরি হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম প্রমুখ।
পিবিএ/এমআর